প্রথম পাতা রাজ্য দেশ আন্তর্জাতিক শিক্ষা রাজনীতি লাইফস্টাইল

Bullet Train: শেষের মুখে ট্র্যাক নির্মাণের কাজ, ভারতের এই বিশেষ রুটে চলবে প্রথম বুলেট ট্রেন

যাতায়াতের গতি বৃদ্ধি করতে দারুন সব পদক্ষেপ নিয়েছে রেল। বুলেট ট্রেন সেই পরিকল্পনাগুলোর মধ্যে অন্যতম। প্রধানমন্ত্রীর কুর্সিতে বসার পর থেকেই জাপানের মতো ভারতে সুপারফার্স্ট, বুলেট ট্রেন চালু করার পরিকল্পনার কথা…

Published By: Debaprasad Mukherjee | Published On:

যাতায়াতের গতি বৃদ্ধি করতে দারুন সব পদক্ষেপ নিয়েছে রেল। বুলেট ট্রেন সেই পরিকল্পনাগুলোর মধ্যে অন্যতম। প্রধানমন্ত্রীর কুর্সিতে বসার পর থেকেই জাপানের মতো ভারতে সুপারফার্স্ট, বুলেট ট্রেন চালু করার পরিকল্পনার কথা ঘোষণা করেন নরেন্দ্র মোদী। এবার তাঁর সেই স্বপ্নের পরিকল্পনা বাস্তবায়িত হতে চলেছে। শীঘ্রই আসতে চলেছে জাপানি প্রযুক্তিতে নির্মিত সুপারফাস্ট বুলেট ট্রেন। ইতিমধ্যে দেশের বিভিন্ন রুটে বুলেট ট্রেন চালানোর জন্য পরিকাঠামো, করিডর তৈরির কাজ শুরু হয়ে গিয়েছে। সবকিছু ঠিকঠাক থাকলে ২০২৭ সালেই ছুটবে বুলেট ট্রেন, এমনটাই জানা গেছে রেল সূত্রে।

জানা গেছে, এই বুলেট ট্রেনের জন্য ভারত চুক্তি করেছে জাপান ইন্টারন্যাশনাল কো-অপারেশন এজেন্সির সঙ্গে। এই এজেন্সির অধীনে হিটাচি রেল ও কাওয়াসাকি নামের জাপানি সংস্থা আছে। বুলেট ট্রেন বানানোর জন্য এই ২টি সংস্থা দায়িত্ব পেয়েছে। ট্রেনটির পরিকাঠামো সহ পুরো কাজটি দেখাশোনা করবে ন্যাশনাল হাইস্পিড রেল কর্পোরেশন লিমিটেড। এই সংস্থা জানিয়েছে, বুলেট ট্রেনটির কোচগুলি বিশেষভাবে বানানো হবে। কোচের সংখ্যা হবে ১০ টি। শিনকানসেন ট্রেনটি ৬৯০ জন যাত্রী নিয়ে চলাচল করতে পারবে। প্রতি ঘণ্টায় শিনকানসেন ট্রেনটির গতিবেগ ৩২০ কিলোমিটার।

জানা গিয়েছে দেশের প্রথম ট্রেন আহমেদাবাদ ও মুম্বই রুটে চালানোর পরিকল্পনা রয়েছে রেলের। সেই জন্য গুজরাটে বেশ কিছু রেলসেতু বানানোর কাজ শেষের দিকে। এর মধ্যে একটি ইস্পাত সেতু নির্মাণের কাজ সম্পন্ন হয়েছে বলে জানা গেছে। সূত্রের খবর, এমএএইচএসআর করিডোরে ২৪টি নদীর মধ্যে ছয়টি নদীর ওপর সেতুর কাজ ইতিমধ্যে শেষ হয়েছে। সেগুলি হল পার (ভালসাদ জেলা), পূর্ণা (নবসারি জেলা), মিন্ধোলা (নবসারি জেলা), অম্বিকা (নবসারি জেলা), আউরাঙ্গা (ভালসাদ জেলা) এবং ভেঙ্গানিয়া (নবসারি জেলা)।

এদিকে বুলেট ট্রেনের জন্য জমি অধিগ্রহনের কাজ শেষের মুখে বলে জানিয়েছেন রেলমন্ত্রী অশ্বিনী বৈষ্ণব। রেলমন্ত্রী সোমবার ঘোষণা করেছেন যে গুজরাট, মহারাষ্ট্র এবং দাদরা ও নগর হাভেলিতে মোট ১,৩৮৯.৫ হেক্টর জমি অধিগ্রহণ করা হয়েছে। এছাড়াও ইতিমধ্যে ১২০.৪ কিলোমিটার গার্ডার স্থাপন করা হয়েছে। পাশাপাশি ২৭১ কিলোমিটার পিলার স্থাপন করা হয়েছে। এই সবগুলি উচ্চগতির রেল ট্র্যাক বানানোর জন্য করা হচ্ছে বলে জানা গেছে।