প্রথম পাতা রাজ্য দেশ আন্তর্জাতিক শিক্ষা রাজনীতি লাইফস্টাইল

Royal Enfield: প্রথমবার ৬৫০ সিসির বাইক লঞ্চ করলো রয়্যাল এনফিল্ড! জেনে নিন দাম ও ফিচার্স সম্পর্কে

পাবলিক ট্রান্সপোর্টের থেকে আজকাল কমবেশি সকলেই নিজের গাড়িতে যাতায়াত করতে পছন্দ করেন। আর সেই কারণে ভারতের মতো উন্নয়নশীল দেশে বাইক মানুষের যাতায়াতের অন্যতম মাধ্যম হয়ে দাঁড়িয়েছে। তবে ক্রেতা অনুযায়ী বাইকের…

Published By: Debaprasad Mukherjee | Published On:

পাবলিক ট্রান্সপোর্টের থেকে আজকাল কমবেশি সকলেই নিজের গাড়িতে যাতায়াত করতে পছন্দ করেন। আর সেই কারণে ভারতের মতো উন্নয়নশীল দেশে বাইক মানুষের যাতায়াতের অন্যতম মাধ্যম হয়ে দাঁড়িয়েছে। তবে ক্রেতা অনুযায়ী বাইকের মডেল ও চাহিদাও ভিন্ন হয় বাজারে। যেভাবে মধ্যবিত্ত মানুষজন পছন্দ করেন বাজেট সেগমেন্ট বা মিড-রেঞ্জ বাইক, তেমনই আবার অনেক উচ্চবিত্ত ভারতীয় শখ পূরণের জন্য প্রিমিয়াম বাইকও কিনে থাকেন। তাই এদেশে প্রিমিয়াম বাইকের চাহিদাও বৃদ্ধি পাচ্ছে উত্তরোত্তর।

আর ভারতের প্রিমিয়াম বাইকের তালিকায় Royal Enfield-এর চাহিদা বা জনপ্রিয়তা বেড়েছে এক দশকে। এই বাইককে টেক্কা দিতে পারেনি কোনো কোম্পানিই। পাহাড়ি রাস্তায় বাইক সফর থেকে শুরু করে রাস্তা কাঁপানো শব্দে শহরের জনবহুল এলাকায় যাওয়া, এইসব শখ পূরণ করতে Royal Enfield হল অনেকের প্রথম পছন্দ। সেই কারনেজ আজকাল সব জায়গায় বুলেটের শব্দ শোনা যায়। আর এবার একটি ৬৫০ শিশির দমদার বাইক লঞ্চ করলো কোম্পানি। এই বাইকের ফিচার্স শুনলে আপনারও হুঁশ উড়বে।

সম্প্রতি, Royal Enfield Shotgun 650 নামের এই বাইকটি লঞ্চ করেছে সংস্থা। তাদের দাবি, এই বাইকে লং ড্রাইভ করলে মজা পাবেন রাইডাররা। তার কারণ হল এই বাইকের শক্তিশালী ইঞ্জিন। এই বাইকে দেওয়া হয়েছে ৬৪৮ সিসির একটি এয়ার-অয়েল কুল্ড ফুয়েল ইনজেকটেড ইঞ্জিন, যার ক্ষমতা সাধারণ বাইকের থেকে অনেকটাই বেশি। সেই কারণেই এই বাইককের ইঞ্জিন সর্বোচ্চ ৪৬ হর্সপাওয়ার শক্তি এবং ৫২ এনএম টর্ক উৎপন্ন করতে সক্ষম। সেই সঙ্গে এই বাইকে রয়েছে ৬-স্পিড গিয়ারবক্স। এই বাইকের ফুয়েল ট্যাংক ক্যাপাসিটি ১৩.৮ লিটার এবং রিসার্ভ ফুয়েল ক্যাপাসিটি ২.৭ লিটার। এছাড়াও এই বাইকে মিলবে অ্যাসিস্ট স্লিপার ক্লাচ ফ্রন্ট ও রিয়ার সাপেনশন প্রি লোড অ্যাডজাস্টার, ডিস্ক ব্রেক এবং ডুয়াল চ্যানেল।

অতিরিক্ত ফিচার্স হিসেবে Royal Enfield Shotgun 650 বাইকে মিলবে ডিজিটাল ওডোমিটার, অ্যানালগ স্পিডোমিটার, সেমি-ডিজিটাল ইনস্ট্রুমেন্ট ক্লাস্টার, ডিজিটাল ট্রিপমিটার, গিয়ার ইন্ডিকেটর, এলইডি হেডলাইট, টেল লাইট, মোবাইল কানেক্টিভিটি, টার্ন সিগন্যাল ল্যাম্প, নেভিগেশন ও জিপিএস এবং ইউএসবি চার্জিং পোর্ট। এই বাইকের বেস মডেলের এক্স-শোরুম দাম রয়েছে ৩.৫৯ লক্ষ টাকা। এছাড়াও কাস্টম শেড নিলে দাম পড়বে ৪.২০ লক্ষ টাকা, কাস্টম প্রো মডেলের দাম ৪.৩২ লক্ষ টাকা এবং কাস্টম স্পেশাল মডেল নিলে দিতে হবে ৪.৩৫ লক্ষ টাকা।