আজকালকার দিনে চাকরির আকাল পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে দেশজুড়ে। এ যেন এক কঠিন পরিস্থিতি। এই অবস্থায় শিক্ষিত যুব সমাজের বেশিরভাগই আজ কর্মহীন। কাজের খোঁজে হন্যে হয়ে ঘুরে বেড়াচ্ছেন কেউ কেউ। কেউ আবার সরকারি চাকরির আশায় দিন গুনছেন। আর এই অবস্থায় দেশের অর্থনীতির সঙ্গে অনেকেরই চাকরি করার আশা ফুরিয়ে আসছে। হতাশ হচ্ছেন শিক্ষিত সমাজ, যারা এখনো কর্মহীন। ফলস্বরূপ বেকারত্ব বাড়ছে দিনের পর দিন। কেউ কেউ ব্যবসার চেষ্টা চালালেও সিংহভাগ যুবক ও যুবতী আজ দিশাহীন।
তবে এখনো শিক্ষক বা শিক্ষিকা হওয়ার স্বপ্ন দেখেন অনেকেই। যদিও এখন শিক্ষকতার চাকরি পাওয়া মুখের কথা নয়। কারণ আজকাল শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষায় বসতে হলে তার আগে প্রশিক্ষণমূলক কোর্স করা বাধ্যতামূলক। এক্ষেত্রে প্রাইমারি স্কুলের শিক্ষক বা শিক্ষিকা হওয়ার জন্য ডি.এল.এড কোর্স করতে হয়। এছাড়া, উচ্চ বিদ্যালয়ের শিক্ষক ও শিক্ষিকা হওয়ার জন্য বি.এড কোর্স করতে হয়। তবে এর মধ্যে যেকোনো একটি কোর্স করে যেকোনো একটি পরীক্ষায় বসা নিয়ে দেশজুড়ে বিতর্ক অব্যহত। আর এই বিষয়টি নিয়েই এবার এসে গেল এক বড় আপডেট।
উত্তরপ্রদেশের বি.এড প্রার্থীরা কয়েকমাস আগেই এর বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেন দেশের সর্বোচ্চ ন্যায়ালয় সুপ্রিম কোর্টে। একটি ছাত্র সংগঠন এই মামলা করেছিল। তাদের দাবি ছিল, বি.এড কোর্স করা প্রার্থীদেরকেও প্রাথমিক শিক্ষক ও শিক্ষিকা নিয়োগের পরীক্ষায় বসতে দেওয়া হোক। তাদের দাবি ছিল যে এই কোর্স যেহেতু শিক্ষনের প্রশিক্ষণ, তাই এই কোর্স করলো যাতে প্রাইমারি নিয়োগের পরীক্ষাতেও তাদের বক্সার অনুমতি দেওয়া হয়। ২০২৩ সালে এই মামলায় দায়ের জয় সুপ্রিম কোর্টে। আর এবার এই মামলার শুনানি হল আদালতে।
সোমবার, সুপ্রিম কোর্টে রি মামলার শুনানির তারিখ ছিল। আর এই দিনেই মামলাটি খারিজ হয়ে যায় সর্বোচ্চ আদালতে। এদিন বিপক্ষের আইনজীবী দাবি করেন যে মামলাকারীরা সত্য গোপন করে এই মামলা করেছেন। আর সেই কারণেই মহামান্য বিচারপতি সমস্ত নথি খতিয়ে দেখে মামলাটি খারিজ করে দেন। এর সঙ্গে, মামলাকারীদের জরিমানা দেওয়ার নির্দেশ দেন বিচারপতি। সূত্রের খবর, সত্য গোপন করে পিটিশন দায়ের করার অভিযোগে মামলাকারীদের ২৫ হাজার টাকার জরিমানা করা হয়।