জানুয়ারির শেষলগ্নে দাপট দেখাচ্ছে শীত। আর এই শীতকাল মানে যেমন হুহু করে ঠান্ডায় কাঁপা, তেমনই এই শীতে খাবার পাতে কোনো আপোষ করতে চায়না বাঙালি। আর তেমনটা করতেও হয়না। কারণ শীতকালে যেমন বাজারে আসে বাহারি ফল, তেমনই বাজারে অনেকরকম সবজির আমদানি ঘটে এই শীতকলেই। বাঁধাকপি, ফুলকপি, পালং শাক ও গাজর এখন সারাবছর পাওয়া গেলেও এগুলি মূলত শীতের সবজি। এছাড়াও এই সময় মুলো, শিম ও মটরশুঁটি পাওয়া যায় ব্যাপকভাবে। তাই সবজি খেতে যারা ভালোবাসেন, তাদের কাছে শীতকাল যেন স্বর্গসুখ বয়ে আনে।
তবে শীতকালে আবার নানা শারীরিক সমস্যার প্রাদুর্ভাব ঘটে আমাদের শরীরে। আবার ঋতুভেদ ছাড়াও আজকাল বেডরুমের স্বাস্থ্যের সমস্যায় ভুগে থাকেন অনেকেই। আর এইসব নিয়ে একটা চিন্তা মনের মধ্যে চলতেই থাকে। তবে এই সব সমস্যার একক সমাধান হতে পারে মাখনা। আমাদের অনেকেরই সচরাচর মাখনা খাওয়ার অভ্যাস নেই। তবে এই অভ্যাস তৈরি করে ফেললে অনেক রোগকে দূরে সরিয়ে দেওয়া যাবে। একনজরে দেখে নিন মাখনা খাওয়ার উপকারিতা সম্পর্কে।
● হাড় শক্ত করতে: মাখনার মধ্যে প্রচুর পরিমানে ক্যালসিয়াম রয়েছে। আর ক্যালসিয়াম হাড় দৃঢ় করতে একটি উপযোগী উপাদান। তাই প্রতিদিন মাখনা খাওয়ার অভ্যাস থাকলে হাড়ের জোর বেশি বয়স অবধি স্থায়ী হয়। একইসঙ্গে শিশুদের মাখনার পেস্ট বানিয়ে খাওয়ালে তাদের হাড়ের গঠন মজবুত হয়।
● মাংসপেশি সতেজ রাখতে: এই প্রবল ঠান্ডায় মাংসপেশিতে টান ধরে যাওয়ার সমস্যায় আমরা অনেকেই ভুগে থাকি। তবে এই সমস্যার সমাধান করতে পারে মাখনা। পদ্মফুলের বীজ থেকে তৈরি এই খাবার মাংসপেশিকে সতেজ রাখে। তাই শিশুদের মাখনা খাওয়ালে তাদের মাংসপেশি সুগঠিত হয়।
● যৌনস্বাস্থ্য ভালো রাখতে: আজকাল বাইরে থেকে সতেজ থাকলেও বেডরুমে অনেকেই দুর্বল হয়ে পড়েন। এর কারণ হল সঠিক পুষ্টির অভাব। তবে এই অভাব পূরণ করে তেজি ঘোড়ার মতো যৌবন ফিরিয়ে দিতে পারে মাখনা। কারণ এতে রয়েছে ম্যাগনেশিয়াম, পটাশিয়াম, ফাইবার, আয়রন ও জিঙ্ক-এর মত পুষ্টিকর উপাদান, যা যৌন স্বাস্থ্য ভালো রাখতে দারুন উপকারী।
● ডায়াবেটিস, কোলেস্টেরল কমাতে: আজকাল কোলেস্টেরল বৃদ্ধি ও ডায়াবেটিস মানুষের জন্য ব্যাপক সমস্যা হয়ে দাঁড়িয়েছে। তবে মাখনায় থাকা পটাশিয়াম শরীরে ডায়াবেটিস ও কোলেস্টেরলের মাত্রা কমাতে সাহায্য করে। ফলে শরীর থাকে সুস্থ ও সতেজ।
Disclaimer: প্রতিবেদনটি তথ্যের ভিত্তিতে লেখা হয়েছে। যেকোনো শারীরিক সমস্যায় আগে বিশেষজ্ঞর পরামর্শ নিন।