ভারতের নাগরিকদের মধ্যে দিনের পর দিন ব্যবসা করার প্রবণতা বৃদ্ধি পাচ্ছে ব্যাপকভাবে। তাই অনেকেই এখন বিভিন্ন ‘স্টার্ট-আপ’ করার কথা চিন্তাভাবনা করছেন। দেশে চাকরির দুরবস্থা থেকেই মানুষের মনে বিগত দশকে এই পরিবর্তন এসেছে বলে দেখা গেছে এক সমীক্ষায়। কিন্তু ব্যবসার কথা ভাবা আর ব্যবসা শুরু করার মধ্যে বিস্তর পার্থক্য রয়েছে। কারণ ব্যবসা করার কথা ভেবে নেওয়া যায় অনায়াসে, কিন্তু ব্যবসা শুরু করতে গেলে মূলধন থেকে কাঁচামালের যোগান এমনকি দ্রব্যের বিক্রয়স্থল খুঁজতে হিমসিম খেয়ে যান অনেকেই। তবে এই প্রতিবেদনে আপনার জন্য এমন একটি ব্যবসার সন্ধান রয়েছে যা আপনি মাত্র পাঁচ হাজার টাকা থেকেই শুরু করতে পারবেন।
বাঙালি যেহেতু ভোজনরসিক, তাই বাংলার বুকে মাছ ও মাংসের চাহিদা কোনদিনই কমবে না। আর চিকেনের থেকে মাটনের ডিমান্ড সবসময়ই বেশি। তাই রাজ্যের বুকে আজকাল ছাগল প্রতিপালনের ব্যবসা করলে লাভের অঙ্কটা যে কতটা বড় হবে, এ কল্পনা করা যায়না। কারণ এখন বাজারে ছাগল মাংসের দাম বা চাহিদা দুটোই বেশি রয়েছে বাজারে। আর এই কারণে এই ছাগলের প্রতিপালন ও ব্যবসা বেশ লাভজনক হতে পারে। বাড়ির মধ্যেও যেমন এই প্রতিপালন করতে পারবেন, তেমনই পোল্ট্রির মাধ্যমেও এই ব্যবসা করতে পারবেন আপনি।
এবারে দেখে নিন যে কিভাবে শুরু করবেন এই ব্যবসা। এই ব্যবসা বাড়িতেই শুরু করতে পারবেন। শুরুতে আপনি ১০ টি ছাগলের বাচ্চা রেখেই করতে পারেন। তার জন্য আপনার দরকার একটি ৩০০ বর্গফুট জায়গা। এই জায়গায় খড়ের বা টিনের চালে ব্যয়ে চারদিকে জলের বের দিয়ে পোল্ট্রি নির্মাণ করুন। এবার সেখানে ছাগলের খাবার জায়গা তৈরি করুন। এই ব্যবসা শুরু করতে লহুব বেশি মূলধন লাগবে না। তবে এই ব্যবসা একবার শুরু করতে পারলে মুনাফা নিয়ে ভাবতে হবেনা।
এছাড়াও ছাগলের ফার্ম তৈরি করে ছাগল প্রতিপালন করার জন্য অর্থ সাহায্য করে থাকে কেন্দ্র সরকার। মূলধনের সমস্যা হলে নাবার্ড লোনের জন্য আবেদন করতে পারেন। এছাড়াও ন্যাশনাল লাইভস্টক মিশনের আওতায় পাওয়া যায় অর্থ সাহায্য। এই অর্থ সাহায্য পেতে চাইলে সাদা কাগজে হাতে একটি আবেদন পত্র লিখে জমা দিতে হবে ব্লক বা পৌরসভার ভেটেরিনারি অফিসারের কাছে। তিনি সেটিকে পাঠাবেন প্রাণী সম্পদ বিকাশ দফতরে। সেখানে সব পর্যালোচনার পর এই ঋণের টাকা মঞ্জুর করা হয়।