প্রথম পাতা রাজ্য দেশ আন্তর্জাতিক শিক্ষা রাজনীতি লাইফস্টাইল

RBI: সমবায় ব্যাঙ্কের লেনদেনে নিষেধাজ্ঞা জারি করলো রিজার্ভ ব্যাঙ্ক, গ্রাহকদের টাকা নিয়ে বাড়ছে টেনশন

বর্তমান সময়ে টাকা লেনদেনের বিষয়টি কমবেশি সকলের কাছেই অপরিহার্য হয়ে দাঁড়িয়েছে। আর এই টাকা লেনদেনের ক্ষেত্রে ব্যাংক একাউন্ট থাকাটা খুবই জরুরি একটি বিষয় সকলের কাছেই।বলা যায়, ব্যাঙ্ক একাউন্টের প্রয়োজন সকলেরই…

Published By: Debaprasad Mukherjee | Published On:

বর্তমান সময়ে টাকা লেনদেনের বিষয়টি কমবেশি সকলের কাছেই অপরিহার্য হয়ে দাঁড়িয়েছে। আর এই টাকা লেনদেনের ক্ষেত্রে ব্যাংক একাউন্ট থাকাটা খুবই জরুরি একটি বিষয় সকলের কাছেই।বলা যায়, ব্যাঙ্ক একাউন্টের প্রয়োজন সকলেরই পড়ে। সে রোজগারের টাকা সুরক্ষিতভাবে রাখা হোক বা অনলাইনে টাকা লেনদেন কিংবা দূরের কাউকে টাকা ট্রান্সফার করা- এই সমস্ত কাজের জন্য ব্যাঙ্ক একাউন্ট রাখা ভীষণ জরুরি। আর টাকা সঞ্চয় বা বিনিয়োগ করার জন্য এই অ্যাকাউন্ট খুলতে যেতে হয় নানা ব্যাঙ্কে।

আমাদের দেশে এই মুহূর্তে শয়ে শয়ে ব্যাঙ্ক রয়েছে। এর মধ্যে কিছু রাষ্ট্রায়ত্ত সরকারি ব্যাঙ্ক যেমন রয়েছে, তেমনই কিছু বেসরকারি ব্যাঙ্ক ও সমবায় ব্যাঙ্কও রয়েছে আমাদের দেশে। আর এই সব ব্যাঙ্ককে নিয়ন্ত্রণ করে রিজার্ভ ব্যাঙ্ক অফ ইন্ডিয়া। আর এবার একটি সমবায় ব্যাঙ্কের বিরুদ্ধে বড়সড় পদক্ষেপ নিলো রিজার্ভ ব্যাঙ্ক। গ্রাহকদের টাকা ঝুঁকিপূর্ণভাবে রাখা ও বিনিয়োগ করার অভিযোগে মহারাষ্ট্র ভিত্তিক শিরপুর মার্চেন্ট কো-অপারেটিভ ব্যাঙ্ককে বড় সিদ্ধান্ত জানিয়ে দিয়েছে রিজার্ভ ব্যাঙ্ক। তবে এর ফলে গ্রাহকদের কয়েকটি রকমের লেনদেনের উপর কোনো প্রভাব পড়বে না বলে জানা গেছে।

সূত্রের খবর, রিজার্ভ ব্যাঙ্কের নির্দেশ অনুযায়ী মহারাষ্ট্র ভিত্তিক শিরপুর মার্চেন্ট কো-অপারেটিভ ব্যাঙ্ক গ্রাহকদের সঙ্গে কোনোরূপ লেনদেন করতে পারবে না। আগামী ছয় মাসের জন্য এই নির্দেশিকা বহাল থাকবে বলে জানা গেছে। আর এই নির্দেশিকা বলবৎ হয়েছে গত ৮ ই এপ্রিল থেকে। রিজার্ভ ব্যাঙ্কের এই নির্দেশিকায় বলা হয়েছে যে মহারাষ্ট্র ভিত্তিক শিরপুর মার্চেন্ট কো-অপারেটিভ ব্যাঙ্কের কোনো সেভিংস, কারেন্ট বা রেকারিং অ্যাকাউন্ট থেকে বেশ কিছুদিন টাকা তুলতে পারবেন না গ্রহকরা। আর এই বিষয়টি নিয়ে গ্রাহকদের মধ্যে চাঞ্চল্য তৈরি হয়।

তবে জানা গেছে, রিজার্ভ ব্যাঙ্ক এখনো মহারাষ্ট্র ভিত্তিক শিরপুর মার্চেন্ট কো-অপারেটিভ ব্যাঙ্কের লাইসেন্স বাতিল করেনি। তাই যেসব গ্রাহকদের এই ব্যাঙ্কের অ্যাকাউন্ট থেকে কোনো লোনের কিস্তি কাটা চলছে, তারা সেই কাজটি চালিয়ে যেতে পারবেন। তবে এই সময়ে ব্যাঙ্কের কোনো আমানত নতুন ভাবে ক্রয় বা বিক্রয় করা যাবেনা। তবে গ্রাহকদের কোনো টাকা খোয়া যাবেনা এর ফলে। কারণ ডিপোজিট ইন্স্যুরেন্স এবং ক্রেডিট গ্যারেন্টি করপোরেশনের কাছে প্রতিটি ব্যাঙ্কের প্রতিটি অ্যাকাউন্টের ৫ লক্ষ টাকা পর্যন্ত বিমা করা থাকে। তাই ব্যাঙ্ক-এর লাইসেন্স বাতিল হলেও গ্রাহকদের টাকা মার যাবেনা।