সময়ের সঙ্গে সমান্তরালে চলে আমাদের ভাগ্য। তাই সময় যেমন আচমকা বদলে যায়, সেভাবেই ভাগ্যের শিকে কার কখন ছিঁড়ে যায়, তা বলা মুশকিল। তার জন্য যেকোনো কিছুই কারণ হয়ে দাঁড়াতে পারে। সে কোনো লটারি পাওয়া হোক বা পুরানো সম্পত্তির হদিস পাওয়া হোক বা গুপ্তধন পাওয়ার মতো কোনো ঘটনা; ভাগ্য বদলের ক্ষেত্রে কারণের থেকেও গুরুত্বপূর্ণ হয় তার ফলাফল। কারণ আচমকা কোটিপতি হয়ে যাওয়ার পর কেউ ভাবেনা যে সে কেন বা কিভাবে কোটিপতি হয়েছে।
তবে আচমকা কোটিপতি না হলেও আমরা অনেকেই রাস্তায় প্রায়ই টাকা পয়সা কুড়িয়ে পাই। এই যেমন ধরুন, বিকেলে হাঁটতে বেরিয়েছেন, ফাঁকা রাস্তায় দেখলেন একটি পাঁচ টাকার সোনালী কয়েন পড়ে রয়েছে, কিংবা অনেক সময় অনেক বড় অঙ্কের নোটও কুড়িয়ে পাওয়া যায় রাস্তার উপর। আসলে অনেক সময় আমাদের পকেট থেকে টাকা বের করতে গিয়ে হাত ফসকে রাস্তায় পড়ে যায়। আর সেই সময় আমরা অতটা খেয়াল না করলে সেই পড়ে যাওয়া টাকা রাস্তাতেই পড়ে থাকে। পরে কারো নজরে এলে সেই টাকা তার হস্তগত হয়।
তবে রাস্তায় কুড়িয়ে পাওয়া টাকা নিয়ে আজকের এই নিবন্ধে আলোচনা হবে। পড়ে যাওয়ার মতো দুর্ভাগ্যজনক ঘটনার তো কোনো ক্ষতিপূরণ হয়না। কিন্তু রাস্তায় আমরা যদি টাকা কুড়িয়ে পাই, সেই টাকা কি আদৌ আমাদের নেওয়া উচিত। আসলে সাধারণভাবে দেখতে গেলে হাতের লক্ষ্মীকে অবহেলা করতে চান না অনেকেই। আর আপনি না কুড়িয়ে নিলে অন্য কেউ কুড়িয়ে নেবে। তাই অনেকের মতে রাস্তায় টাকা পড়ে থাকলে সেটিকে কুড়িয়ে নেওয়া উচিত। তবে তারপর সেই টাকা কি করতে হবে, তা জেনে নেওয়া দরকার।
জ্যোতিষশাস্ত্র উড়ল ভারতের প্রাচীন শাস্ত্রের মধ্যে অন্যতম। আর এই জ্যোতিষ শাস্ত্রে রাস্তায় কুড়িয়ে পাওয়া টাকা নিয়ে বিধান দেওয়া হয়েছে। সাধারণত অনেকেই বলে থাকেন যে রাস্তায় কুড়িয়ে পাওয়া টাকা খরচ করে দিতে হয়। তবে জ্যোতিষ মতে, এটি মারাত্মক ভুল হবে। কারণ কুড়িয়ে পাওয়া টাকা খরচ করতে গেলে অনেক বেশি খরচ হয়ে যায়। তাই রাস্তায় টাকা কুড়িয়ে পেলে সেটিকে মন্দিরে দান করে দেওয়া উচিত কিংবা সেটি অন্য কোনো মানুষকে দান করা উচিত। আর দুটির মধ্যে একটিও সম্ভব না হলে সেটিকে এনে ঠাকুর ঘরের বিশেষ স্থানে রেখে দিতে হবে। মা লক্ষ্মীর ঝাঁপিতেও রাখতে পারেন। এতে মা লক্ষ্মী প্রসন্ন হবেন আপনার উপর।
Disclaimer: প্রতিবেদনটি ইন্টারনেট থেকে প্রাপ্ত তথ্যের ভিত্তিতে লেখা হয়েছে। কোনো কুসংস্কারকে প্রশ্রয় দেওয়া আমাদের উদ্দেশ্য নয়।