প্রথম পাতা রাজ্য দেশ আন্তর্জাতিক শিক্ষা রাজনীতি লাইফস্টাইল

Agriculture: বাড়ির ছাদেই ফলবে বড় সাইজের বেগুন! জানুন টবে বেগুন চাষের পদ্ধতি

এখন চাকরি না পেয়ে অনেকেই ব্যবসা বা চাষাবাদ করার বিষয়ে ভাবছেন এই অবস্থায় বাড়ির পাশে ফাঁকা জায়গা থাকলে সামান্য বিনিয়োগে লাভজনক কোনো চাষ করলেই কিন্তু ভালো টাকা উপার্জনের সুযোগ রয়েছে।…

Published By: Debaprasad Mukherjee | Published On:

এখন চাকরি না পেয়ে অনেকেই ব্যবসা বা চাষাবাদ করার বিষয়ে ভাবছেন এই অবস্থায় বাড়ির পাশে ফাঁকা জায়গা থাকলে সামান্য বিনিয়োগে লাভজনক কোনো চাষ করলেই কিন্তু ভালো টাকা উপার্জনের সুযোগ রয়েছে। তাই চাকরি বা অন্যান্য ব্যবসার মতোই লাভ দেয় চাষাবাদ। যদিও চাষ নিয়ে অনেকের মধ্যে অনেক নেগেটিভ চিন্তাভাবনা থাকে। তবে সঠিক উপায় ও আধুনিক পদ্ধতিতে চাষ করেও আজকাল রোজগার করা সম্ভব। আর এক্ষেত্রে যদি কেউ এমন কথা ভেবে থাকেন, তাদের জন্য অভিনব উপায়ে বেগুনের চাষ একটি ভালো বিকল্প হতে পারে।

বেগুন হল এক প্রকারের ফল। তবে ভোজনরসিক বাঙালির রান্নাঘরে বেগুন সবজি হিসেবেই ব্যবহৃত হয়। অনেকের ধারণা এই উদ্ভিদের প্রজাতিগুলির উদ্ভব ভারতে হয়েছিল, যেখানে এটির ব্যপক বৃদ্ধি হতে থাকে।আবার অনেকের মতে এর বৃদ্ধি আফ্রিকাতেও হতে পারে। তবে উৎপত্তি যেখানেই হোক না কেন, বেগুনের প্রতি ভালোবাসা তাতে একটুও কমেনি বাঙালির মনে। তাই বেগুন ভাজা থেকে বেগুন ভর্তা, সবেতেই জিভে জল আসে অনেকের। এক্ষেত্রে অনেকের বেগুনে এলার্জি থাকলেও বেগুন খেতে ছাড়তে পারেন না তারা। তবে যাদের এলার্জি নেই, তাদের জন্য বেগুন ভীষণভাবে উপকারী। নামে বে-গুন হলেও পুষ্টিগুণে বেগুনের জুড়ি মেলা ভার।

তবে মাঝেমধ্যেই বাজারে বেগুনের দাম আগুন হয়ে যায়। বৃষ্টিতে বেগুনের ক্ষেত ভেসে গেলেই বেগুনের দাম কেজিপ্রতি ৮০ থেকে ১০০ টাকা অবধি হয়ে যায়। বেগুনপ্রেমীদের তখন ভীষণ কষ্ট হয়। তবে তারা এই উপায়ে বাড়িতেই বেগুনের চাষ করতে পারেন। বাড়িতে ফাঁকা জায়গা না থাকলেও বাড়ির ছাদে টবের মধ্যে বেগুনের চাষ করে ভালো ফলন পাওয়া সম্ভব। এর জন্য আগে মাটি তৈরি করতে হবে। এর জন্য দোআঁশ মাটি ও গোবর সার শুকিয়ে মিশিয়ে নিতে হবে। এবার সেই মাটি টবে ভর্তি করে তার উপর বেগুনের চারা লাগাতে হবে। ভালো জাতের চারা হলে ১৫ থেকে ২০ দিনের মধ্যে ফলন পাওয়া সম্ভব।

তবে এক্ষেত্রে মনে রাখতে হবে যে বেগুনের গাছে কিন্তু খুব বেশি পরিমাণে পোকা হয়। তাই বেগুন গাছে সঠিক ফলন পেতে ব্যবহার করতে হবে রাসায়নিক কীটনাশক। পোকা দূর করতে বেগুন গাছে ১০ গ্রাম ফুরাডান এবং ৬ গ্রাম ভিটামিন গুঁড়ো জলের সঙ্গে মিশিয়ে গাছে স্প্রে করতে পারেন। এছাড়াও সার হিসেবে বেগুন গাছের গোড়ায় দেওয়া যায় ১৫ থেকে ২০ গ্রামের মত ‘টিএসপি’ সার। এছাড়াও বেগুন গাছের নাইট্রোজেনের ঘাটতি পূরণ করার জন্য ৮ থেকে ১০ গ্রাম ইউরিয়া এবং পটাস সারও দিতে পারেন।