আজকালকার দিনে দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধির নাগপাশে আবদ্ধ হয়েছে গোটা দেশ। আর সাধারণ মধ্যবিত্তদের জীবনধারাও এমনভাবে সজ্জিত হয়েছে, যেখানে দরকার পড়ে অনেক দামিদামি জিনিসপত্রের। কিন্তু দরকার পড়লেও সামর্থ্য কুলোয় না অনেকের। এক্ষেত্রে বাড়ি বানানো অনেকেরই স্বপ্ন থাকে। অনেকের ক্ষেত্রে আবার বাড়ি তৈরি আবশ্যিক হয়। তবে কারণ যাই হোক না কেন, বর্তমানে বাড়ি তৈরি একটি ব্যয়বহুল বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে। কারণ বাড়ি তৈরির সময় যেমন দরকার পড়ে ইট, বালি, সিমেন্ট ও রডের, তেমনই আবার দরকার পড়ে পাইপ, টাইলস এসবেরও।
সর্বসাকুল্যে বাড়ি তৈরি করতে হলে এখন অনেকটা পরিমান টাকার দরকার পড়ে একসাথে। সব জিনিসপত্র কেনাকাটা থেকে শুরু করে মিস্ত্রিদের বেতন, সবটাই গুনতে হয় একইসাথে। কিন্তু সেই পরিমান টাকা সেই মুহূর্তে না পেয়ে অনেকেই লোনের বিষয়ে চিন্তাভাবনা করেন। এক্ষেত্রে গৃহ ঋণ আজকাল সহজেই পাওয়া যায়। অনেকেই যেমন ব্যাঙ্ক থেকে লোন নিয়ে থাকেন, তেমনই আবার অনেকে বিভিন্নরকম ফাইন্যান্স কোম্পানি থেকেও লোনের জন্য আবেদন করেন। আর এভাবেই বাড়ি তৈরির স্বপ্নপূরণ করেন নিম্নবিত্ত পরিবারের মানুষজনও।
তবে এবার থেকে নতুন বাড়ির স্বপ্ন দেখার মানুষগুলি জোর ধাক্কা খেতে চলেছেন। কটন এবার এমন একটি উপাদানের দাম বাড়তে শুরু করলো, যা বাড়ি তৈরির অন্যতম মূল উপাদান। কথা হচ্ছে সিমেন্টের মূল্যবৃদ্ধি নিয়ে। এপ্রিলে নতুন অর্থবর্ষ শুরু হতে সিমেন্টের দাম বৃদ্ধির ছবিটা ক্রমেই স্পষ্ট হয়েছে দেশজুড়ে। কারণ গত কয়েকদিনের মধ্যেই সিমেন্ট ব্যাগের দাম বৃদ্ধি পেয়েছে উল্লেখযোগ্য হারে। মূলত উত্তর ভারত ও উত্তর-পূর্ব ভারতের রাজ্যগুলিতে রি মূল্যবৃদ্ধি ঘটেছে। সর্বশেষ পাওয়া খবর অনুযায়ী, উত্তর ও উত্তর-পূর্ব ভারতের বিভিন্ন রাজ্যে প্রতি ব্যাগ সিমেন্টের দাম বেড়েছে ১২ থেকে ১৫ টাকা করে।
এপ্রিলের শুরু থেকেই সব সিমেন্ট নির্মাণকারী কোম্পানিগুলি একের পর এক মূল্যবৃদ্ধির ঘোষণা করেই চলেছে। এর ফলে এপ্রিল মাসের প্রায় প্রতিটি দিনই এই সিমেন্টের মূল্যবৃদ্ধির খবর উঠে আসছে। যদিও বিগত কয়েকমাসে অনেকটাই কমেছিল সিমেন্টের দাম। সেই কারণে অনেকেই হয়তো বাড়ি তৈরির কাজ শুরু করেছেন। তাদের মধ্যে অনেকেরই এবার খরচ বাড়তে চলেছে। এছাড়াও যারা নির্মিত ফ্ল্যাট কিনবেন বলে ভাবছেন, তাদের জন্যও এটি খারাপ খবর। কারণ এর কারণে দাম বাড়তে পারে ফ্ল্যাটেরও।