দুর্গাপূজা হোক বা শীতের ছুটি, কাজ থেকে ফুরসৎ মিললেই অনেকে ব্যাগ গুছিয়ে বেরিয়ে পড়েন বাড়ি থেকে। কখনও গন্তব্য হয়ে থাকে পাহাড়, কখনো সমুদ্র, কখনো ঐতিহাসিক স্থান, কখনো ধর্মীয় স্থান, আবার কখনো কোনো শান্ত জায়গা। এর মাঝে অনেকেই যান বিদেশ ট্যুরে, কেউ আবার ভিনরাজ্যে কোনো দর্শনীয় স্থান যেতে পছন্দ করেন। অনেকেই আবার কাছেপিঠের কোনো সুন্দর জায়গা খুঁজে নেন হলিডে ডেস্টিনেশন হিসেবে। সেখানেই দিনকয়েক কাটিয়ে আবার সাধারণ জীবনে ফিরতে হয়।
আজকাল সকলের জীবনে রয়েছে ব্যস্ততা। আর এই ব্যস্ত জীবনে চাকরি বা পড়াশুনা বা ব্যবসা থেকে লম্বা ছুটি নিয়ে দূরে কোথাও ঘুরতে যাওয়ার সুযোগ বছরে একবারই আসে। কিন্তু এই রোজকার জীবনে হাঁপিয়ে ওঠেন অনেকেই। তাই এই জীবন থেকে ‘এসকেপ রুট’-এর সন্ধানে কাছেপিঠের গন্তব্য খুঁজে থাকেন অনেকেই। তবে ভিড়ের কারণে দিঘস বস মন্দারমনিকে এড়িয়ে চলেন অনেকেই। কিন্তু কাছেপিঠের মধ্যে এই দুই জায়গা বাদে আর কোথায় যাওয়া যায়! উত্তরটা হল নিউ বকখালি। বকখালির নাম অনেকেই শুনেছেন, তবে আজ আপনাদের জানাবো নিউ বকখালি সম্পর্কে।
কলকাতার কাছেপিঠেই এই সমুদ্র সৈকত দেখলে দীঘা বা মন্দারমনির সমুদ্র সৈকতের থেকে কম কিছু বলে মনে হবেনা। আর এই স্থানে ভিড় খুব একটা হয়না। এছাড়াও এখানে দীঘার থেকে ভালো নৈসর্গিক সৌন্দর্য উপভোগ করা যায়। বিশেষ করে কলকাতার প্রেমিক প্রেমিকারা এই স্থানে ঘুরতে যেতে পারেন। একইসঙ্গে এখানে ঝাউবন রয়েছে। তাই সন্ধ্যের দিকে ঝাউবনের মৃদুমন্দ বাতাস গায়ে লাগিয়ে বেশ সুন্দর অনুভূতি পাবেন এই প্রথম গ্রীষ্মের হালকা গরমে। পাশাপাশি এখানে টেন্টে থাকার বিকল্পও রয়েছে। সর্বসাকুল্যে প্রতিদিনের খরচ ২ হাজার টাকার মধ্যেই হয়ে যাবে।
এবার জেনে নিন যে কিভাবে এই সুন্দর স্থানটিতে পৌঁছাবেন। প্রথমত, এই স্থানে আপনি গাড়ি ভাড়া করে যেতে পারেন। সেক্ষত্রে কলকাতা থেকে নিউ বকখালির দূরত্ব মাত্র ৯০ কিলোমিটার। তবে এই স্থানে কম খরচে পৌঁছানোর বিকল্প হিসেবে রয়েছে ট্রেন যোগাযোগ। নিউ বকখালির কাছের রেলস্টশন হল উকিলের হাট। এর জন্য শিয়ালদহ থেকে আপনাকে ট্রেন ধরতে হবে। উকিলের হাট স্টেশনে নেমে সেখান থেকে যেকোনো গাড়ি নিয়ে পৌঁছানো যাবে এই স্থানে। এইভাবে গেলে মাত্র ৪৫ টাকায় পৌঁছানো যাবে এই স্টেশনে। পরিকল্পনা না থাকলে হঠাৎ করে বেড়ানোর ডেস্টিনেশন হিসেবে এটিকে দুর্দান্ত বিকল্প বলা যায়।