সরকারের অধীনস্থ একাধিক সেক্টরে লক্ষাধিক কর্মী নিযুক্ত আছেন। সরকার প্রতিটি কর্মীকে সেক্টর অনুযায়ী বেতনের পাশাপাশি আরো একাধিক ভাতা প্রদান করে থাকে কর্মীদের। তবে এমপ্লয়িজ প্রভিডেন্ট ফান্ড বা EPF স্কিম রেল সহ একাধিক সরকারি দফতর এবং বেসরকারী সেক্টরে কর্মরত বেতনভোগী কর্মচারীদের অবসর-পরবর্তী জীবনের জন্য একটি নিরাপত্তা অফার করে। এমপ্লয়িজ প্রভিডেন্ট ফান্ড অর্গানাইজেশন বা EPFO দ্বারা পরিচালিত, এটি কর্মচারী এবং নিয়োগকর্তা উভয়ের কাছ থেকে অবদান বাধ্যতামূলক করে।ইপিএফ স্কিম বর্তমানে ৮.১৫ শতাংশ বার্ষিক সুদের হার অফার করে।
তবে এমপ্লয়িজ প্রভিডেন্ট ফান্ড ছাড়াও আরো একাধিক প্রভিডেন্ট ফান্ড চালু রয়েছে দেশে। যার মধ্যে অন্যতম হল জেনারেল প্রভিডেন্ট ফান্ড বা GPF। শুধুমাত্র সরকারি কর্মচারীরা এই প্রভিডেন্ট ফান্ডে টাকা রাখতে পারেন। বলা বাহুল্য, সরকারি কর্মীদের বেতনের কিছুটা অংশ কেটে এই ফান্ডে রাখা হয় তাদের কর্মকালে। আর এই ফান্ডের সুদের হার পরিবর্তিত হয় ত্রৈমাসিক অন্তরে। আর এবার মার্চ ত্রৈমাসীকের জন্য এই ফান্ড নিয়ে বড়সড় আপডেট দিলো পশ্চিমবঙ্গের রাজ্য সরকার। তাই রাজ্যের প্রতিটি সরকারি কর্মচারীর কাছে এই খবরটি গুরুত্বপূর্ণ হতে চলেছে।
গত বছরই এই জেনারেল প্রভিডেন্ট ফান্ড অ্যাকাউন্টে সুদের হার বৃদ্ধির করে কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রক। সেই মোতাবেক বর্তমানে জেনারেল প্রভিডেন্ট ফান্ডে ৭.১ শতাংশ হারে সুদ মিলছে। অর্থাৎ, যেকোনো ব্যাঙ্কের থেকে বেশি সুদ মিলছে এই বিশেষ ফান্ডের অ্যাকাউন্টে। ফলস্বরূপ, অনেক সরকারি কর্মচারী তাদের বেতনের অনেকটা অংশ সেখানেই ফেলে রাখছিলেন। এতে তাদের অ্যাকাউন্ট ফুলে ফেঁপে উঠছিল। আর এই কারণে উঠছিল কারচুপির অভিযোগ। তবে সেইসব নিয়ন্ত্রণ করতে এবার রাজ্য সরকার সাফ জানিয়ে দিয়েছে যে এই বিশেষ অ্যাকাউন্টে ৫ লক্ষ টাকার বেশি রাখতে পারবেন না সরকারি কর্মচারীরা।
উল্লেখ্য, এমপ্লয়িজ প্রভিডেন্ট ফান্ড ও জেনারেল প্রভিডেন্ট ফান্ড কয়েকটি ক্ষেত্রে আলাদা। আর এই পার্থক্য রয়েছে সুদের হারে পরিবর্তনের ক্ষেত্রে। এমপ্লয়িজ প্রভিডেন্ট ফান্ডে প্রতি বছর সুদের হার পরিবর্তন ককরে হয়। সেখানে জেনারেল প্রভিডেন্ট ফান্ডে প্রতি তিন মাসে পরিবর্তিত হয় সুদের হার। উল্লেখ্য, ২০২৩-২৪ অর্থবর্ষে এমপ্লয়িজ প্রভিডেন্ট ফান্ডে সুদের হার ৮.১৫ শতাংশ রয়েছে। কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রকের নিয়ম অনুযায়ী, প্রতি মাসে নিজেদের বেতনের ১২ শতাংশ টাকা দিতে হয়।