বয়স বৃদ্ধির সঙ্গে সঙ্গেই মানুষের জীবনের কর্মক্ষমতা কমে যায়। মূলত ২০ থেকে ৫০ বছর অবধি সময়ে মানুষ সঠিকভাবে কাজ করে অর্থ উপার্জন করতে পারে। তবে এক্ষেত্রে অনেকের জীবনে অকালে নেমে আসে কিছু বিপর্যয়। আর সেই কারণে অনেক কম বয়সে রোজগার বন্ধ হয় অনেকের। তাই সেই সময়ের জন্য টাকা জমিয়ে রাখতে কমবেশি সকলেই আগ্রহী হয়ে থাকেন। আর এই সঞ্চয়ের জন্য ভারতীয় জীবনবীমা নিগম বা LIC হল অত্যন্ত ভরসযোগ্য একটি সংস্থা। কারণ এখানে সুনিশ্চিত রিটার্নের পাশাপাশি পাওয়া যায় জীবনবীমার মতো সুবিধাও।
তবে শুধুমাত্র জীবনবীমা বা বিনিয়োগ নয়, এলআইসি এবার বাজারে নিয়ে এসেছে তাদের এমন একটি স্কিম, যেখানে আপনি দুর্দান্ত রিটার্ন পাওয়ার সুবিধাটিও পেয়ে যাবেন। এই স্কিমে নানা ভাবে বিনিয়োগের সুবিধাও উপলব্ধ রয়েছে। পাশাপাশি যুগ্মভাবে এই স্কিমে বিনিয়োগ করা যায়। এক্ষেত্রে পলিসি হোল্ডারের আকস্মিক মৃত্যু হলে তার নমিনি সেই পলিসির রিটার্ন পেয়ে যাবেন। তাই পরবর্তী জীবনের জন্য ভাবনার ক্ষেত্রে একটু দারুন বিকল্প হতে পারে এলআইসি জীবন প্রগতি প্ল্যান। এবার দেখে নিন এই স্কিমের বিস্তারিত।
সুরক্ষিতভাবে কষ্টার্জিত টাকা রাখার দারুন বিকল্প এই প্ল্যানটি। তবে এই পলিসি হলে দীর্ঘকালীন। অর্থাৎ, এই পলিসিতে ২০ বছরের জন্য বিনিয়োগ করতে হবে। তবে এক্ষেত্রে মাসিক প্রিমিয়াম জমা দেওয়ার সুবিধাও দেওয়া হয়। ২০ বছরের জন্য এই পলিসি কিনলে গ্রাহককে মাসে ৬ হাজার টাকা করে জমা করতে হবে। অর্থাৎ, কেউ যদি দৈনিক হিসেব করে, তাহলে প্রতিদিন ২০০ টাকা করে বিনিয়োগ করা যাবে এই পলিসিতে। তবে LIC-র এই জীবন প্রগতি পলিসির সবথেকে বির সুবিধা হল এই পলিসিতে মাত্র ১২ বছর বয়স থেকেই বিনিয়োগ করা যেতে পারে। তবে শুধুমাত্র ৪৫ বছরের কম বয়স্ক মানুষরাই এতে বিনিয়োগ করতে পারবেন।
এবার দেখে নিন যে এই পলিসি থেকে কোন হিসেবে বড় অঙ্কের রিটার্ন পাওয়া সম্ভব। এক্ষেত্রে যদি পলিসি হোল্ডার প্রতিদিন ২০০ টাকা করে জমা দেন, তাহলে তার মাসিক সঞ্চয় হবে ৬,০০০ টাকা। এক্ষেত্রে এক বছরে সঞ্চয় হবে ৭২,০০০ টাকা। এবার যদি ২০ বছরের জন্য এই একই নিয়মে গ্রাহক বিনিয়োগ করেন, তাহলে তার মোট বিনিয়োগ হবে ১৪,৪০,০০০ টাকা। যেখানে পলিসি ম্যাচিওর হলে ২৮ লক্ষ টাকার কাছাকাছি রিটার্ন পাওয়া যাবে। যেকোনো LIC অফিসে গিয়ে এই পলিসি কিনতে পারবেন। এক্ষেত্রে এসব নথি জমা দিতে হবে, সেগুলি হল- আধার কার্ড, প্যান কার্ড, পাসপোর্ট সাইজ ফটো, ব্যক্তিগত মোবাইল নম্বর, ব্যাঙ্ক পাসবুক ইত্যাদি।