প্রথম পাতা রাজ্য দেশ আন্তর্জাতিক শিক্ষা রাজনীতি লাইফস্টাইল

Parenting Tips: শিশুর সামনে ভুলেও এসব কাজ করবেন না, নাহলে মানসিক রোগে পড়তে পারে শিশুটি

বর্তমান সময়ে একজন শিশুকে ভালোভাবে মানুষ করতে হলে তাকে যথাযথ শিক্ষা দেওয়া দরকার। আর এই বাক্যটি আজকাল সমাজের বুকের যেমন এক অমোঘ সত্য হয়ে দাঁড়িয়েছে। সেই কারণেই আজকাল শিশুর জন্মের…

Published By: Debaprasad Mukherjee | Published On:

বর্তমান সময়ে একজন শিশুকে ভালোভাবে মানুষ করতে হলে তাকে যথাযথ শিক্ষা দেওয়া দরকার। আর এই বাক্যটি আজকাল সমাজের বুকের যেমন এক অমোঘ সত্য হয়ে দাঁড়িয়েছে। সেই কারণেই আজকাল শিশুর জন্মের একবছর পর থেকেই অভিভাবকরা শিশুকে স্কুলে পাঠানো বা বাড়িতে পড়াশুনা করানোর অভ্যাস তৈরি করতে চান। কারণ আজকাল মেধার ইঁদুর দৌড়ে সব শিশুকেই অন-ট্র্যাক থাকতে হয়। নাহলেই থেকে যায় পিছিয়ে পড়ার আশঙ্কা।

তবে অভিভাবকরা সাধ্যমতো বা সাধ্যের বাইরে গিয়ে চেষ্টা করলেও অনেক শিশুর ক্ষেত্রে বুদ্ধির বিকাশ সেভাবে ঘটেনা। নানা কারণে শিশুর এই মেধার বৃদ্ধি ঘটেনা বয়সের সঙ্গে। তবে এক্ষেত্রে শিশুর মা ও বাবার কিছু বিশেষ দায়িত্ব রয়েছে। এই দায়িত্বগুলি সঠিকভাবে পালন করলেই শিশুর মানসিক বিকাশে কোনোরূপ বাধা বা বিপত্তি আসবে না। একইসঙ্গে শিশুর পাশাপাশি এই কাজগুলি বাবা ও মায়ের মানসিক স্বাস্থ্যকেও ভালো রাখতে সাহায্য করবে। এই নিবন্ধে জেনে নিন এমনই কয়েকটি টিপস।

● শিশুর সামনে ঝগড়ায় বিরতি: অনেকসময় শিশুর সামনেই ঝগড়া অশান্তি করে বাবা মায়েরা। তবে এটি শিশুর মনে বিরূপ প্রভাবই ফেলে। তাই শিশুর সঠিকভাবে মানসিক গঠন করার জন্য সবার আগে তার সামনে ঝগড়া বা চেঁচামেচি করা বন্ধ করতে হবে।

● শিশুর জন্য রুটিন তৈরি: একজন মানুষের সফল হওয়ার পিছনে সময়ে কাজ করা ও নিয়মানুবর্তিতা পালন করা জরুরি। তাই আপনার শিশুকেও এই জিনিসটি সেখান। প্রয়োজনে তাকে একটা রুটিন করে দিন। এতে শিশুর মানসিক গঠন ভালো হবে।

● সকালে শিশুর সঙ্গে ভালো ব্যবহার: দিনের সবথেকে গুরুত্বপূর্ণ সময় হল সকালবেলা। কারণ এটি সারাদিনের সূচনালগ্ন। তাই সকালে শিশুর সঙ্গে হেসে কথস বলার চেষ্টা করুন। সকালে কোনোভাবেই শিশুকে বকাঝকা করবেন না। এতে শিশুর মানসিক স্বাস্থ্য ভালো থাকবে।

● শিশুকে সময় দেওয়া: আজকালকার দিনে সব মামা মায়েরাই কাজে বেশি ব্যস্ত থাকেন। আর কাজের বাইরে মোবাইল বা ল্যাপটপের সামনে সময় কাটান। তবে এর মাঝেই প্রতিদিন নিয়ম করে শিশুর সঙ্গে কথা বলা এবং তার মনের কথা বন্ধুসুলভ আচরণের মাধ্যমে জানা জরুরি। এতে শিশুর মনে আত্মবিশ্বাস বেড়ে যায়।

Disclaimer: প্রতিবেদনটি শুধুমাত্র সচেতনতা বৃদ্ধির উদ্দেশ্যে লেখা। যেকোনো গুরুতর সমস্যায় আগে বিশেষজ্ঞর পরামর্শ নেওয়া উচিত।