বাঙালির রান্নাঘর হল একটি গুরুত্বপূর্ণ স্থানে। মাছের বাহারি রান্না হোক বা মাংসের ঝোল, বাঙালির রান্নাঘরে হলুদের জুড়ি মেলা ভার। হলুদ ছাড়া রান্নায় বাঙালির পেট ভরলেও, ভরেনা মন। এককথায় বললে, যুগ যুগ ধরে বাঙালির হেঁসেলে হলুদ একটি গুরুত্বপূর্ণ মশলার সম্মান পেয়ে আসছে। তবে শুধু রান্না নয়, হলুদের রয়েছে রোগপ্রতিরোধ ক্ষমতা সহ আরো নানান আশ্চর্য গুনাগুন। ত্বকের উপকারের পাশাপাশি হলুদের মধ্যে রয়েছে এমন কিছু উপাদান, যা আমাদের শরীরে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়িয়ে তোলে। তবে শুধুমাত্র এসবই নয়, হলুদের রয়েছে বেশ কিছু বাস্তু গুন। সেই সম্পর্কে জেনে নিন এবার।
জীবনে সুখ শান্তি কেই বা না চায়! সকলের মনে একটাই চাহিদা- জীবনে থাকুক সুখ, মনে থাকুক শান্তি আর ব্যাংকে আধিক্য হোক লক্ষ্মীর। কিন্তু এই সুখ ও শান্তির মাঝেই আচমকা কখনো কোনোদিন নেমে আসে চরম বিপদ। অসফলতা ও মানসিক অশান্তিতে ডুবে যায় আমাদের মনের সবটা। তবে এমন সব সময়কে পের করে ভালো সময় আসে ঠিক সেভাবেই, যেভাবে রাতের পর দিন আসে। তবে এটি তাড়াতাড়ি করতে হলে সেখানে জ্যোতিষশাস্ত্র ও বাস্তুশাস্ত্র কিছু বিধি দিয়ে থাকে। মূলত এই সব বিষয়েই চর্চা হয় জ্যোতিশশাস্ত্র ও বাস্তুশাস্ত্রে।
কিন্তু জীবনের সব সমস্যার সমাধানের উপায় রয়েছে আমাদের চারপাশেই। এই মতামত দিয়ে থাকেন ভারতের প্রাচীনতম এই দুই শাস্ত্রের বিশেষজ্ঞরা। তাই জীবনে কঠিন সমস্যা হলেও সেভাবে দুশ্চিন্তা বা হতাশাগ্রস্ত না হয়ে পড়ার পরামর্শ দিয়ে থাকেন তারা। কারণ আমাদের বাড়ির সাধারণ ব্যবহার্য জিনিসপত্র বা রান্নাঘরের কোনো বস্তুকে সঠিকভাবে ব্যবহার করলেই তার সুফল পড়ে আমাদের জীবনের উপর। আর এইসব সমাধানের মধ্যে অন্যতম হল হলুদ।
সনাতন হিন্দু ধর্মে হলুদকে একটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ও শুভ উপাদান বলে ধরা হয়। তাই বিয়ে বা এই ধরণের যেকোনো শুভকাজে হলুদের ব্যবহার হয়ে আসছে প্রাচীনকাল থেকে। এছাড়াও হলুদ থেকে দূর হয় গ্রহের দোষও। তাই হলুদ দিয়ে ভাগ্যের চাকা ঘোরাতে ঘর মোছার জলের সঙ্গে এক চিমটি হলুদ গুঁড়ো মিশিয়ে নিন। এতে দেবী লক্ষ্মী গৃহের উপর প্রসন্ন হবেন। একইসঙ্গে হলুদের প্রভাবে দূর হবে বাড়ির সব নেতিবাচক প্রভাব। পাশাপাশি এটি নিয়মিত করলে যেকোনো গ্রহের দোষের প্রভাব স্তিমিত হবে।
Disclaimer: প্রতিবেদনটি তথ্যভিত্তিক। কোনোরূপ অন্ধবিশ্বাস বা কুসংস্কারকে প্রশ্রয় দেওয়া আমাদের উদ্দেশ্য নয়।