একবিংশ শতাব্দী দিন দিন ডিজিটাল যুগ হয়ে উঠছে। এককথায় এই ডিজিটাল যুগ হল স্মার্ট গ্যাজেটের যুগ। আর সব গ্যাজেটের মধ্যে স্মার্টফোন বর্তমানে সর্বাধিক জনপ্রিয়। সেই কারণেই স্মার্টফোন আজকাল সকলের হাতেই থাকে। আট থেকে আশি, এই একটি গ্যাজেট ছাড়া যেন সবাই অচল। সে সোশ্যাল মিডিয়ায় সক্রিয় থাকাই হোক বা ক্যামেরা দিয়ে ছবি-ভিডিও তোলা কিংবা গান শোনা অথবা সিনেমা দেখা- স্মার্টফোন আমাদের কমবেশি সব কাজেই অত্যন্ত দরকারি একটি জিনিস। বলা যায়, জীবনের এক অঙ্গ হয়ে দাঁড়িয়েছে এই স্মার্টফোন।
বর্তমানে স্মার্টফোনের বাজারে রাজ করছে ভারতের প্রতিবেশী দেশ চীন। কারণ বিগত কয়েকবছরে চীনা মোবাইল প্রস্তুতকারক সংস্থাগুলি ভারতের বাজারে চুটিয়ে ব্যবসা করেছে। তবে চীনের এই একাধিপত্য এবার শেষ হতে চলেছে। কারণ এবার থেকে চীনকে এই ব্যবসায় বড় টক্কর দিতে চলেছে ভারত। জানা গেছে, এবার ভারতীয় মোবাইল বেশি করে রপ্তানি করার পরিকল্পনা নিয়ে। ভারতে নির্মিত মোবাইল বেশি পরিমাণে আমেরিকায় রপ্তানি করা হবে। এই কারণেই আমেরিকার টেক কোম্পানিগুলো চীন থেকে ভারতে আসতে শুরু করেছে।
সম্প্রতি প্রকাশিত হওয়া একটি রিপোর্ট বলছে, বর্তমানে প্রতি ঘন্টায় আমেরিকাকে ৪.৪৩ কোটি টাকার মোবাইল রপ্তানি করছে ভারত। চীন ও ভিয়েতনামের পাশাপাশি এবার ভারতও অন্যতম মোবাইল রপ্তানিকারক দেশ হিসেবে আত্মপ্রকাশ করতে চলেছে। যদি পরিসংখ্যানের দিকে নজর দেওয়া যায় তাহলে দেখা যাচ্ছে যে ২০২২-২০২৩ অর্থবর্ষে যেখানে মাত্র ৯৯৮ মিলিয়ন ডলারের স্মার্টফোন আমেরিকাকে রপ্তানি করেছিল ভারত। তবে ২০২৩-২০২৪ অর্থবর্ষে মাত্র ৯ মাসেই অনেক বেশি মোবাইল রপ্তানি করেছে ভারত। গত অর্থবর্ষের এপ্রিল থেকে ডিসেম্বর অবধি ভারত আমেরিকাকে ৪.৪৩ বিলিয়ন ডলারের স্মার্টফোন রপ্তানি করেছে। এই পরিমান এই অর্থবর্ষে আরো বেশি বাড়বে বলে জানা গেছে।
উল্লেখ্য, এই মর্মে গত কেন্দ্রীয় অন্তর্বর্তীকালীন বাজেট সংসদ ভবনে পেশ হওয়ার আগেই এই বিষয়ে একটি সিদ্ধান্ত নিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। স্মার্টফোনের বিভিন্ন সামগ্রীর ক্ষেত্রে আমদানি শুল্ক কমানোর সিধান্ত নরম হয়েছে কেন্দ্র সরকারের তরফে। আর সেই কারণেই দেশে এবার মোবাইলের দাম কমে যাবে বলে আশা করা হচ্ছে। এতদিন পর্যন্ত এইসব জিনিস আমদানির ক্ষেত্রে ১৫ শতাংশ শুল্ক দিতে হত। তবে কেন্দ্র এই শুল্ক ৫ শতাংশ কমিয়ে দিয়েছে। অর্থাৎ এর প্রভাবে মাত্র ১০ শতাংশ শুল্ক দিয়েই এসব আমদানি করতে হবে।