বাংলায় এখন চলছে বসন্তকাল। কিন্তু বসন্তের আমেজ যেন গায়েব হয়েছে গত দুদিন ধরে। তার কারণ হল গ্রীষ্মের আগাম আগমন। বসন্তের প্রভাব শুরু হতে না হতেই দক্ষিণবঙ্গের বেশ কিছু জেলায় লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ছে তাপমাত্রার পারদ। দক্ষিণবঙ্গে এখন পোড়া গরম। তাপমাত্রা প্রায় চল্লিশ ছুঁইছুঁই। আবহবিদেরা জানিয়েছেন, আগামী কয়েক দিনে কলকাতা-সহ দক্ষিণবঙ্গের বিভিন্ন জেলায় তাপমাত্রা আরও দু’চার ডিগ্রি পর্যন্ত বৃদ্ধি পেতে পারে। এর ফলে পুরুলিয়া, ঝাড়গ্রাম, বাঁকুড়া, পশ্চিম বর্ধমান, পশ্চিম মেদিনীপুরের মতো জেলাগুলিতে তাপপ্রবাহের পরিস্থিতি তৈরি হবে। ওই জেলাগুলিতে তাপমাত্রা ছাড়াবে ৪০ ডিগ্রি সেলসিয়াসের গণ্ডি।
আর এই গ্রীষ্মের সময়ে পান্তা ভাত খাওয়ার চল রয়েছে পূর্ব ভারতের প্রায় প্রতিটি রাজ্যেই। বাংলায় তো পান্তা ভাতের জনপ্রিয়তা বেশি। গ্রীষ্মে হোটেল, রেস্তোরাঁতেও পাওয়া যায় পান্তাভাত। আর এই পান্তাভাত খাওয়া ভালো। শরীরে অনেক উপকারী প্রভাব ফেলে পান্তাভাত। তাই গ্রীষ্মে গরম ভাতের থেকে জলে ভেজানো ভাত খাওয়া জরুরি। কিন্তু কেন? জানতে হলে পড়তে হবে নিবন্ধের বাকি অংশটি।
● পুষ্টিগুণ: গবেষণায় দেখা গেছে যে টাটকা ভাতের থেকে পান্তা ভাতের খনিজ পুষ্টিগুণ বেশি। যেখানে ১০০ গ্রাম টাটকা ভাতে খনিজের পরিমাণ মাত্র ৩.৪ মিলিগ্রাম, সেখানে বারো ঘণ্টার ভেজানো অবস্থায় থাকা ভাতে খনিজের পরিমাণ ৭৩.৯১ মিলিগ্রাম। তাই পান্তাভাত খাওয়া অনেকাংশে উপকারী।
● ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে: টাইপ-২ ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে পান্তাভাত একটি দারুন বিকল্প হতে পারে। কারণ পান্তাভাতে রয়েছে প্রোবায়োটিকের মতো উপাদান। এই উপাফন শরীরে ফ্যাট জমতে বাধা দেন আর ফ্যাট কম জমলেই শরীরে টাইপ-২ ডায়াবেটিস হওয়ার সম্ভাবনা কমে যায়। তাই পান্তাভাত খেয়ে ডায়াবেটিস হবে, এই কথাটি সম্পূর্ন ভুল। তবে পরিমানে কম খেতে হবে।
● কোলেস্টেরল নিয়ন্ত্রণে: শরীরের কোলেস্টেরল বৃদ্ধি আজকাল একটা বড় সমস্যা হয়ে দাঁড়িয়েছে। তবে কোলেস্টেরল নিয়ন্ত্রণ করতে প্রতিদিন এক কাপ পান্তাভাত খেতে পারেন। কারণ এতে থাকা প্রোবায়োটিক মেটাবলিজম বাড়িয়ে দেয়। সেই কারণে খারাপ কোলেস্টেরলের প্রভাব কমে যায় শরীরে।
● গ্রীষ্মকালীন রোগ প্রতিরোধে: গ্রীষ্মকালে ডায়রিয়ার মতো পেটের অসুখ বেশি হয়। মূলত হজমের কারণেই হয় এটি। তবে পান্তাভাত খেলে ডায়রিয়া হওয়ার সম্ভাবনা কমে যায়। কারণ পান্তাভাত সহজপাচ্য খাবার। একইসঙ্গে এটি খেলে শরীর ঠান্ডা হয়। ফলে হিট-স্ট্রোক হওয়ার প্রবণতা কমে যায় অনেকাংশে।
Disclaimer: প্রতিবেদনটি তথ্যভিত্তিক। বাস্তব জীবনের যেকোনো সমস্যায় আগে বিশেষজ্ঞর পরামর্শ নিন।