প্রথম পাতা রাজ্য দেশ আন্তর্জাতিক শিক্ষা রাজনীতি লাইফস্টাইল

Prashant Kishor: ভোটের আগেই পিকে’র ভবিষ্যদ্বাণী! বাংলায় এগিয়ে কে- তৃণমূল না বিজেপি!

হাতে মাত্র কয়েকটা দিন। তারপরেই লোকসভা নির্বাচন শুরু হচ্ছে দেশজুড়ে। আগামী ১৯ এপ্রিল থেকে দেশজুড়ে লোকসভা ভোট শুরু হচ্ছে। সাত দফায় হবে ভোটগ্রহণ। বেশ কয়েকসপ্তাহ আগেই নির্বাচন কমিশন লোকসভা ভোটের…

Published By: Debaprasad Mukherjee | Published On:

হাতে মাত্র কয়েকটা দিন। তারপরেই লোকসভা নির্বাচন শুরু হচ্ছে দেশজুড়ে। আগামী ১৯ এপ্রিল থেকে দেশজুড়ে লোকসভা ভোট শুরু হচ্ছে। সাত দফায় হবে ভোটগ্রহণ। বেশ কয়েকসপ্তাহ আগেই নির্বাচন কমিশন লোকসভা ভোটের নির্ঘন্ট প্রকাশ করে দিয়েছে। তাই হাতে যেহেতু আর বেশিদিন সময় নেই তাই প্রচারের ময়দানে খামতি রাখতে নারাজ সবকটি রাজনৈতিক দল। বাংলায় ভোটের উত্তাপ এমনিতেই বেশি। তাই বাংলায় ভোটের প্রচার চলছে পুরোদমে। শাসক থেকে বিরোধী, সবাই প্রচারে নেমেছেন ইতিমধ্যে। এদিকে প্রকাশিত সব এক্সিট পোলে সার্বিক ফলাফলে বিজেপির জয়লাভের ছবিটা স্পষ্ট হয়েছে।

তবে এখন পশ্চিমবঙ্গের ফলাফল নিয়ে দোটানা চলছে রাজনৈতিক মহলে। কারণ পশ্চিমবঙ্গের এই মুহূর্তের সবথেকে সংখ্যাগরিষ্ঠ দল হল শাসক দল তৃণমূল কংগ্রেস। যদিও এই মুহূর্তে রাজ্যে তৃণমূলের অবস্থা অনেকটাই ডামাডোল। অন্যদিকে এই সুযোগকে কাজে লাগিয়ে বাংলায় বাজিমাত করতে চাইছে বিজেপি। যদিও বাম ও কংগ্রেস কিছুটা চেষ্টা চালাচ্ছে। তবর সার্বিক ফলাফলের ভিত্তিতে বাংলার বুকেও পদ্মের প্রভাব বাড়বে বলে মনে করছেন অনেকেই। অনেকেই আবার ভাবছেন যে বাংলার মানুষ দিদির উপরেই আস্থা রাখতে চলেছে।

আর এই পরিস্থিতিতে ভোটের ফলাফলের ইঙ্গিত দিয়ে গুরুত্বপূর্ণ কথা বললেন প্রশান্ত কিশোর। সম্প্রতি, সম্প্রতি ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেসকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞ প্রশান্ত কিশোর বলেছেন, “রাজ্যে ক্ষমতাসীন দল তৃণমূলের চেয়ে বিজেপি পশ্চিমবঙ্গে ভাল পারফরম্যান্স করবে। বিজেপি পশ্চিমবঙ্গে বৃহত্তম দল হিসাবে আবির্ভূত হবে। বিজেপির ফল হবে অবাক করার মতো।” এর আগের এক একটি সাক্ষাৎকারে বলেন, “বিজেপি বঙ্গে বড় রাজনৈতিক শক্তি। এবার নির্বাচনে ২০১৯ সালে জয়ী আসন সংখ্যার নীচে যাবে না তারা।” উল্লেখ্য, ২০১৯ সালে পশ্চিমবঙ্গে ৪২ টি আসনের মধ্যে তৃণমূল পেয়েছিল ২২টি আসন, বিজেপি পেয়েছিল ১৮ টি আসন এবং কংগ্রেস পেয়েছিল ২ টি আসন।

প্রসঙ্গত, প্রশান্ত কিশোর একজন ভারতীয় নির্বাচনী কৌশলী ও রাজনীতিবিদ। তিনি এর আগে আট বছর ধরে জাতিসংঘের অর্থায়নে জনস্বাস্থ্য কর্মসূচিতে কাজ করেছিলেন। তারপর নির্বাচনী কৌশলী হিসেবে আত্মপ্রকাশ ঘটে তার। ভারতের রাজনীতির চাণক্য হয়ে ওঠেন প্রশান্ত কিশোর। দেশজুড়ে তার ‘পিকে’ নামটি জনপ্রিয় হয়ে উঠতে থাকে। ইতিমধ্যে, নরেন্দ্র মোদী, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, নীতীশ কুমার, জগনমোহন রেড্ডির মতো নেতারা পিকের হাত ধরে ভোটে জিতেছেন। শুধুমাত্র ২০১৭ সালে পিকে ব্যর্থ হন উত্তরপ্রদেশের ভোটে। তবে তারপরেও তার জয়ের স্ট্রিক বজায় থেকেছে।