ভারতে নতুন আর্থিক বছর শুরু হয়েছে ১লা এপ্রিল থেকেই। আর নতুন অর্থবর্ষ মানেই নতুনভাবে আয়কর ফাইল করার সময় আসন্ন। ২০২৪-২৫ আর্থিক বছরের জন্য আয়কর রিটার্ন ফাইল করার প্রক্রিয়াও ইতিমধ্যে শুরু হয়েছে। আর এই প্রক্রিয়া চলবে আগামী ৩১ শে জুলাই অবধি। এই নির্দিষ্ট তারিখের আগেই করযোগ্য ব্যক্তিদের আয়কর রিটার্ন দাখিল করতে হবে। দুটি পদ্ধতিতে এই কাজ করা যায়। প্রথমত, পুরানো ট্যাক্স ব্যবস্থা কিংবা নতুন ট্যাক্স ব্যবস্থার অধীনে আইটি ফাইল করতে পারেন। যদিও এই দুটি কর ব্যবস্থায় ট্যাক্স স্ল্যাবও হয় ভিন্ন ভিন্ন।
তবে এবার করদাতাদের জন্য নিয়মের মাঝে একটি বড়সড় পরিবর্তন এনেছে কেন্দ্র। এই নতুন নিয়মের ফলে কোটি কোটি করদাতা আয়কর থেকে হয়তো মুক্তি পাবেন। উল্লেখ্য, গত বছর অর্থাৎ, ২০২৩ সালের বাজেটে কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামন কর ব্যবস্থার এই নতুন নিয়মকানুন সামনে আনেন। আর এই নতুন নিয়মের ফলে কর জমা দেওয়া নাগরিকদের কর প্রদান থেকে কিছুটা হলেও স্বস্তি দিয়েছে কেন্দ্রীয় সরকার।
এই নতুন নিয়ম অনুযায়ী আয়করের সীমা ৭ লক্ষ টাকা করা হয়েছে। অর্থাৎ এখন থেকে যে ব্যক্তির আয় ৭ লক্ষ টাকার বেশি, শুধুমাত্র তাদেরকেই আয়কর জমা দিতে হবে। যদিও আগে এই সীমা ছিল ৫ লক্ষ টাকা। অর্থাৎ এর আগে ৫ লক্ষ টাকা অবধি যাদের আয় ছিল, তাদের সকলকেই আয়কর দিতে হতো। এখন সেই সীমা বাড়িয়ে দেওয়ার কারণে দেশের কোটি কোটি নাগরিক এই আয়কর থেকে ছাড় পেতে চলেছেন। তবে সেক্ষেত্রে কর ছাড়ের কোনো সুবিধা থাকছে না।
এদিকে, নতুন এই নিয়মে রয়েছে আরো একটি বিশেষ সুবিধা। এই কর ব্যবস্থা অধীনে যেসব নাগরিকরা বেতনভোগী এবং পেনশনভোগী যারা আয়কর জমা দেবেন তাদের আয়কর জমা দেওয়ার লেটরে ৫০,০০০ টাকা পর্যন্ত অতিরিক্ত সুবিধা লাভের বিষয়টি জানিয়েছে সরকার। নতুন কর ব্যবস্থা অধীনে এই ধরনের লোকেদের বার্ষিক উপার্জনের উপরেও ৫০,০০০ টাকার অতিরিক্ত ছাড়ের ঘোষণা করা হয়েছে। তাই বলাই যায় যে এই আয়কর অনেকের জন্য ভালো হলেও অনেকের ক্ষেত্রে এটি খারাপ হতে চলেছে।