সমাজবদ্ধ জীব হিসেবে এই নশ্বর পৃথিবীতে বেঁচে থাকার জন্য একজন মানুষের সবথেকে বেশি প্রয়োজন একজন সঙ্গীর। একজন কাছের মানুষের সংস্পর্শেই নিজের মানুষকে খুঁজে পাওয়া যায়। যার কাছে মন ও শরীর দুটিই লুটিয়ে দিয়ে শান্তির ঘুম ঘুমোতে চায় সকলেই। কিন্তু এই সবকিছুর জন্য প্রয়োজন একটা নির্ঝঞ্ঝাট মধুর সম্পর্কের। আর সম্পর্ককে ভালো রাখতে দরকার যত্নের। কিছু ক্ষুদ্র কাজ করলেই তিক্ততা থেকে মধুরতায় পৌঁছে যায় সম্পর্কের সমীকরণ।
কিন্তু সংসারে নানা সময় নারী পুরুষের কলহ লেগেই থাকে নানা কারণে। সেই কারণেই ব্যাহত হয় সংসারের সুখ ও শান্তির পরিবেশ। শুধু শান্তির বিঘ্নতা নয়, অনেক সময় সামান্য মতবিরোধ থেকে সম্পর্ক পৌঁছে যায় ভাঙনের পর্যায়ে। ফলস্বরূপ জীবন থেকে মুছে যায় সুখের দিনগুলি। তবে কিছু কাজ করলেই সম্পর্কের অশান্তি রোধ করা যায়। খুবই সহজ সেইসব কাজই হল সংসারে সুখের চাবিকাঠি। এই প্রতিবেদনে রইল তেমনই কয়েকটি টিপস।
● সময় দেওয়া: যেকোনো সম্পর্ককে লালন পালন করতে হলে একে অপরকে যথেষ্ট সময় দিতে হয়। দাম্পত্য জীবনের ক্ষেত্রে এটি বিশেষভাবে প্রযোজ্য। তাই দাম্পত্য জীবনে পা বাড়ানোর আগে নিজেকে সময় দেওয়ার জন্য উপযুক্ত করে তোলা উচিত।
● মিলেমিশে থাকা: দাম্পত্য জীবনকে সুখকর করে তুলতে হলে সবার আগে মিলেমিশে থাকার অভ্যাস গড়ে তোলা জরুরি। যেকোনো কাজে একে অপরকে যতটা সম্ভব সাহায্য করা উচিত। সেটা অফিসের কাজ হোক বা রান্নার কাজ।
● রোমান্স বজায় রাখা: দাম্পত্য জীবনকে সুখকর করে তুলতে হলে রোমান্স বজায় রাখা জরুরি। কারণ রোমান্স বজায় রাখলে তবেই দাম্পত্য সুখকর হয়। এক্ষেত্রে একে অপরের সঙ্গে ব্যক্তিগত মুহূর্ত নিয়মিত কাটানোর অভ্যাস গড়ে তোলা জরুরি।
● কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করা: পুরুষ ও মহিলা উভয়েই তার সঙ্গী বা সঙ্গিনীর থেকে কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করতে দেখতে চায়। তাই একটি সম্পর্ককে সুখকর বানাতে হলে সবার আগে এই অভ্যাস গড়ে তোলা উচিত।
● পুরানো বিবাদ ভুলে যাওয়া: প্রেম করে বিয়ে করলে বিয়ের আগে সম্পর্কে অনেক পুরনো বিবাদ থেকে যায়। তবে বিয়ের আগে এসব ভুলে যাওয়াটাই শ্রেয়। এতে সম্পর্ক থাকে মধুর।
Disclaimer: প্রতিবেদনটি তথ্যভিত্তিক। বাস্তব জীবনে সবার ক্ষেত্রে উপরোক্ত বিষয়গুলি নাও মিলতে পারে।