অপেক্ষার আর মাত্র ১ দিন। তারপরেই ২২ শে জানুয়ারি রাম রাজ্য অযোধ্যায় উদ্বোধন হবে রাম মন্দিরের। ইতিমধ্যে, শুরু হয়ে গিয়েছে ভোগবন রামের দ্বাদশ অধিবাস। এককথায় এই মুহূর্তে ভারতের কেন্দ্রবিন্দুতে পরিণত হয়েছে অযোধ্যা। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী, রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সংঘের পরিচালক মোহন ভগবত, উত্তরপ্রদেশের রাজ্যপাল আনন্দীবেন পটেল, মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ এবং অন্যান্য বিশিষ্ট ব্যক্তির উপস্থিতিতে ওইদিন অযোধ্যার রাম মন্দিরের গর্ভগৃহে প্রাণপ্রতিষ্ঠা হবে রামলালার। এই অনুষ্ঠানে ভারতীয় আধ্যাত্মবাদ, ধর্ম, সম্প্রদায়, উপাসনা পদ্ধতি, ঐতিহ্যের সমস্ত প্রতিষ্ঠানের আচার্যেরা উপস্থিত থাকবেন। এছাড়াও এই অনুষ্ঠানে থাকবেন ১৫০রও বেশি বিভিন্ন মত-পন্থের সাধু-সন্ন্যাসী এবং ৫০-এরও বেশি আদিবাসী, জনজাতি শ্রেণির শীর্ষ নেতৃত্ব।
আর মন্দির উদ্বোধনের আগেই এবার গর্ভগৃহে বসানো হল রামলালার ভব্য মূর্তিকে। বৃহস্পতিবার, ভোর রাতে রামলালার এই মূর্তিকে আনা হয় মন্দিরে। তারপর নানা পূজাপাঠ ও মহাযজ্ঞের পর এই মূর্তিকে বসানো হয় মন্দিরের গর্ভগৃহে। আর এই কার্য সম্পন্ন হতেই প্রকাশ্যে এল ভগবানের মূর্তির ছবি। রাম মন্দির কর্তৃপক্ষ কর্তৃক প্রকাশিত এই ছবিতে মূর্তির চোখের কাছে হলুদ কাপড় বেড়ানো অবস্থায় দেখা গেছে। জানা গেছে, ডায়াগ্রাম হিসেবে এই ছবিকে সামনে আনা হয়েছে। এই ছবির নাম দেওয়া হয়েছে, ‘মূর্তি কি খাসিয়ত’।
দক্ষিণ ভারতের প্রখ্যাত শিল্পী অরুণ যোগীরাজ এই মূর্তিটি নির্মাণ করেছেন। জানা গেছে, ৪.২৪ ফুট লম্বা ও ৩ ফুট চওড়া এই মূর্তির ওজন ২০০ কিলোগ্রাম। তবে এই মূর্তির কয়েকটি বিশেষত্ব রয়েছে। পদ্মের উপর দাঁড়িয়ে থাকা এই মূর্তির উপরের দিকে রয়েছে স্বস্তিকচিহ্ন, ওঁ-চিহ্ন, চক্র ও গদা চিহ্ন। এছাড়াও মূর্তির একেবারে শীর্ষে রয়েছে সূর্যের ছবি। এছাড়াও রামলালার মূর্তির চারপাশে পাথরে অঙ্কিত রয়েছেন দশাবতার। মূর্তির ডানদিকে রয়েছে মৎস্য, কূর্ম, বরাহ, নৃসিংহ এবং বামন অবতার। মূর্তির বাঁদিকে রয়েছে পরশুরাম, রাম, কৃষ্ণ, বুদ্ধ এবং কল্কি অবতার। অবতারগণের একেবারে নীচে রয়েছে। হনুমান, একদিকে গরুড়।
উল্লেখ্য, মঙ্গলবার থেকেই শুরু হয়ে গেল রামলালার অভিষেক অনুষ্ঠান। আগামী ৫ দিনে চলবে এই দ্বাদশ অধিবাস রীতি। ১৬ থেকে ২১ জানুয়ারি পর্যন্ত দ্বাদশ অধিবাস নিয়মের পালন করা হবে। ২০ জানুয়ারি সকালে একজোড়া অধিবাস হয়। সেগুলি হল শর্করাধিবাস ও ফলাধিবাস। ওইদিন বিকেলেই সম্পন্ন হয় পুষ্পধিবাস। এরপর আগামী ২১ জানুয়ারি সকালে মধ্যধিবাস এবং বিকেলে হবে সহ্যধিবাস। জানা গেছে, রামলালার প্রাণপ্রতিষ্ঠা অনুষ্ঠানের পূর্বে ১২১ জন আচার্য মিলে এই সকল নিয়ম পালন করবেন। সমস্ত বিষটির দেখাশোনা করবেন জ্ঞানেশ্বর শাস্ত্রী দ্রাবিড়। তাঁকে সহায়তা করবেন কাশীর প্রধান আচার্য লক্ষ্মীকান্ত দীক্ষিত।