স্বাধীনতার পর থেকেই দেশে অনেক শিল্পপতি আত্মপ্রকাশ করেছেন। তাদের মধ্যে লাভজনক ব্যবসা করে কেউ কেউ হয়ে উঠেছেন ধনকুবের। রতন টাটা, ধীরুভাই আম্বানি, আদিত্য বিড়লা প্রমুখরা হলেন আমাদের দেশের কিছু নামজাদা শিল্পপতি। বর্তমানে দেশের ধনীতম ব্যক্তিদের তালিকায় উল্লেখযোগ্য স্থানে রয়েছেন রিলায়েন্স কর্ণধার মুকেশ আম্বানি। আম্বানি পরিবারের মালিকানাধীন রিলায়েন্স ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেড হল একটি ভারতীয় বহুজাতিক কোম্পানি। রিলায়েন্স ইন্ডাস্ট্রিজের পাওয়ার, পেট্রোকেমিক্যাল, প্রাকৃতিক গ্যাস, রিটেল, টেলিযোগাযোগ, গণমাধ্যম এবং টেক্সটাইল সহ বিভিন্ন ব্যবসা রয়েছে।
বর্তমান ভারতের বুকে রিলায়েন্স হল ভারতের সব থেকে লাভজনক কোম্পানিগুলির মধ্যে একটি। বাজার মূলধন কোম্পানি ও রাজস্বের হিসাবে ভারতের বৃহত্তম কোম্পানি হল রিলায়েন্স। গোটা বিশ্বে ৩ লক্ষ কর্মচারী রয়েছে এই কোম্পানির। তাই এটি হল ভারতের বৃহত্তম নিয়োগকারী কোম্পানির মধ্যে একটি। তবে এই ব্যবসায় আম্বানি পরিবারের প্রত্যেকের আলাদা আলাদা ভূমিকা রয়েছে। আম্বানি পরিবারের সিংহভাগ সদস্যর কাছে যেমন এর মালিকানা রয়েছে, তেমনই ভারতের বিখ্যাত এই পরিবারের অনেকেই রয়েছেন কোম্পানির গুরুত্বপূর্ণ পদে।
রিলায়েন্সের সিইও পদে রয়েছেন কর্ণধার মুকেশ আম্বানি। এছাড়াও কোম্পানির ডিরেক্টর পদে ছিলেন তার সহধর্মিনী নীতা আম্বানি। তবে ২০২৩ সালের বার্ষিক বৈঠকে তিনি সেই পদ ছেড়ে দেন। সেই সঙ্গে আম্বানি পরিবারের পরবর্তী প্রজন্মের তিনজনকে ডিরেক্টর পদে স্থলাভিষিক্ত করা হয়। আর তারা হলেন আম্বানি পরিবারের দুই পুরুষ- অনন্ত আম্বানি ও আকাশ আম্বানি এবং পরিবারের একমাত্র কন্যা ইশা আম্বানি। বর্তমানে কোম্পানির নন-এগজিটিকিউটিভ ডিরেক্টর পদে রয়েছেন ইশা। তবে শুনলে অবাক হবেন, কোম্পানি থেকে মোটা টাকা মাইনে ওয়ান ইশা।
কোম্পানি সূত্রে খবর, বর্তমানে ইশা আম্বানি রিলায়েন্স থেকে মাসিক ৩৫ লক্ষ টাকা বেতন পেয়ে থাকেন। অর্থাৎ, তার বার্ষিক রোজগার ৪.১ কোটি টাকা। এছাড়াও, ৩১ বছর বয়সী ইশার হাতে রয়েছে কোম্পানির শেয়ার। তা থেকে তিনি লাভের আলাদা টাকা পেয়ে থাকেন। এছাড়াও, কোম্পানির ডিরেক্টর পদে থাকার জন্য অতিরিক্ত কিছু টাকা মাইনে হিসেবেই পান ইশা। জানা গেছে, বর্তমানে মুকেশ কন্যার সম্পত্তির পরিমান ১০ কোটি ডলার। অর্থাৎ, ভারতীয় মুদ্রার হুসেব বর্তমানে ইশা আম্বানি ৮০০ কোটি টাকার সম্পত্তির মালকিন।