এখন এক জায়গা থেকে অন্য জায়গায় পৌঁছানোর মাধ্যম কিন্তু একাধিক রয়েছে। শহরাঞ্চলে রয়েছে ট্রেন পরিষেবা। এছাড়াও শহর ও মফঃস্বল এলাকায় রয়েছে সরকারি ও বেসরকারি বাস পরিষেবা। এছাড়াও ট্যাক্সি পরিষেবা ব্যক্তিগতভাবে দ্রুত গন্তব্যে পৌছনোর জন্য একটি ভালো বিকল্প। তবে এতে খরচ বেশি। তবে এই খরচের সমস্যার সমাধানের পথ খুঁজে দিয়েছে কিছু মোটর বাইক সংস্থা। কম খরচে বাইক বুক করে দ্রুত পৌঁছানো যায় নির্দিষ্ট গন্তব্যে। তবে তার থেকেও কম খরচে এখন অদূর গন্তব্যে পৌঁছানো যায় টোটোর মাধ্যমে।
বর্তমানে এই তিন চাকা ওয়ালা ব্যাটারি চালিত গাড়ির চলাচল গ্রাম থেকে শহর সব জায়গাতেই বেশি। গ্রামাঞ্চলে অনেক মানুষের পরিবহনের একমাত্র মাধ্যম এই টোটো। তবে শহরাঞ্চলে এই গাড়ির রমরমা সবথেকে বেশি। আজকাল শহরের সব মোড়েই দেখা মেলে এইসব গাড়ির। অটোর থেকে এই গাড়ির চলাচল আজকাল বেশি। তবে এই গাড়ি নিয়ে একাধিকবার অনেক অভিযোগ সামনে এসেছে। যাত্রী থেকে চালকদের মধ্যেও নানা সময়ে নানা ঝামেলা ঘটেছে। প্রশাসনের তরফে সাময়িক সমাধান করা হলেও কোনো স্থায়ী সমাধানের সূত্র খুঁজে পাওয়া যায়নি।
তবে এবার রাজ্যের শহরাঞ্চলে টোটো গাড়ির দাপাদাপি নিয়ন্ত্রণে রাখতে এবং যাত্রী সুরক্ষার কথা ভেবে এক গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ নিয়েছে রাজ্য সরকার। এবার থেকে প্রতিটি টোটো গাড়িতে একটি জিনিস রাখা বাধ্যতামূলক করেছে রাজ্যের পরিবহন দফতর। জানা গেছে, এবার থেকে রাজ্যের প্রতিটি টোটো গাড়িতে এবার থেকে আবশ্যকভাবে লাগানো থাকতেই হবে QR Code। আর এমনটা না থাকলেই সেই টোটোর বিরুদ্ধে আইনত পদক্ষেপ নেওয়া হবে হলেও জানা গেছে।
সূত্রের খবর, এই নতুন পদক্ষেপ খুব শীঘ্রই উদ্বোধন করা হবে রাজ্যে। এই প্রকল্প রাজ্যের পরিবহণ মন্ত্রী স্নেহাশীষ চক্রবর্তী উদ্বোধন করবেন বলে জানা গেছে। এই কিউআর কোড জায়রি নিরাপত্তায় এক বিশেষ গুরুত্ব পালন করবে বলে জানা গেছে। কখনো কোনো যাত্রী কোনরূপ বিপদে পড়লে সেই কিউআর কোড স্ক্যান করে সেখান থেকে তৎক্ষণাৎ সাহায্য চাইতে পারবেন অভিযোগ দায়ের করে। এই ব্যবস্থা গ্রহণ করার ফলে যাত্রী নিরাপত্তা কয়েকগুণ বাড়বে বলেই মত বিশেষজ্ঞদের।