ভারতের প্রতিটি রাজ্যেই রাজ্য সরকারের অধীনস্থ নানা বিভাগে লক্ষ লক্ষ কর্মচারী কাজ করেন। আর রাজ্য সরকারের দ্বারা প্রণয়িত বেতন কমিশন সরকারের সমস্ত দফতরের কর্মচারীদের বেতন নির্ধারণ করে। এই কাজটি সমসাময়িক আয় ও ব্যয়ের হিসেব করেই নির্ধারণ করে বেতন কমিশন। তাই এই বেতন কমিশন প্রতি দশ বছর অন্তর বদলানো হয় কেন্দ্র সহ বিভিন্ন রাজ্যে। মূলত এটি কেন্দ্রের নিয়ম হলেও অনেক রাজ্য সরকার এখন কেন্দ্রকে এই বিষয়ে অনুসরণ করে চলে। তাই কেন্দ্রের মতো রাজ্যেও পে কমিশন অনুযায়ী নির্ধারণ করা হয় কর্মচারীদের বেতন।
সম্প্রতি, রাজ্য সরকারি কর্মীদের মহার্ঘভাতা বৃদ্ধি করেছে উত্তরপ্রদেশ, চন্ডীগড়, আসাম, মিজোরাম, মধ্যপ্রদেশ সহ একাধিক রাজ্যের সরকার। তাদের রাজ্য সরকারি কর্মীদের ডিএ বাড়িয়েছে। সেই সঙ্গে নতুন বেতন কমিশন চালুর ঘোষণাও হয়েছে চলতি অর্থবর্ষে। তবে কর্ণাটকের রাজ্য সরকারি কর্মীরা বহুদিন ধরেই সপ্তম বেতন কমিশন চালুর জন্য দাবি জানিয়ে আসছিলেন। তবে কিছুদিন আগেই ঘোষণা হয়েছিল যে এই বছর নতুন বেতন কমিশন লাগু হবে না কর্ণাটক রাজ্যের সরকারি কর্মীদের জন্য। কারণ এর জন্য অতিরিক্ত ১২ হাজার কোটি টাকা খরচ হবে। আর এই মুহূর্তে রাজ্যের কোষাগারে সেই পরিমান অতিরিক্ত টাকা মজুত নেই।
তবে শীঘ্রই এই সমস্যার সমাধান করতে চলেছে কর্ণাটকের বিজেপি সরকার। কারণ সামনেই কেন্দ্রে রয়েছে ভোট। এমন আবহে রাজ্য সরকারি কর্মীদের দাবি পূরণে যে গুরুত্বপূর্ণ কিছু পদক্ষেপ নেওয়া হতে পারে, সেই সম্ভাবনাও জোরালো হচ্ছে ক্রমে। তাই কর্ণাটকের রাজ্য সরকারি কর্মীরা শীঘ্রই সুখবর পেতে পারেন বলে আশা করা হচ্ছে। আর এই সপ্তম কমিশন লাগু হলে কর্ণাটকের রাজ্য সরকারি কর্মীদের নূন্যতম বেতন ১৭ হাজার টাকা থেকে বেড়ে হবে ২৭ হাজার টাকা। উল্লেখ্য, এক্ষেত্রে কর্মীদের বেতন বাড়বে ২৭.৫ শতাংশ।
এখন দেখে নিন কাদের বেতন কত বাড়তে চলেছে। এই রিপোর্ট কার্যকর হলে যাদের মূল বেসিক বেতন ২০৯০০ টাকা রয়েছে, মূল বেতন বেড়ে হবে ৩৩৩০০ টাকা হতে পারে। যাদের মূল বেতন আছে ৪০৯০০ টাকা, তাদের মূল বেতন বৃদ্ধি পেয়ে হবে ৬৫৯৫০ টাকা হতে। যাদের মূল বেতন ৫০১৫০ টাকা, তাদের মূল বেতন বেড়ে ৭৯৯০০ টাকা হতে পারে। এছাড়াও সিনিয়র কর্মীরা, যাদের মূল বেতন রয়েছে ১ লক্ষ ৪ হাজার ৬০০ টাকা, তা সংশোধন করে ১ লক্ষ ৬৭ হাজার ২০০ টাকা করা হতে পারে।