দেশের দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধির সঙ্গে আনুপাতিক হারে সরকারি কর্মচারীদের বেতন নির্ধারণ করতেই দেওয়া হয় মহার্ঘভাতা। একটি বেতন কমিশনের আওতায় একাধিকবার এই মহার্ঘভাতার পরিমান বদলানো হয়। আর কেন্দ্রের এই নীতিকে মেনে চলে রাজ্য সরকারগুলিও। তবে বাংলায় এই মহার্ঘভাতা নিয়ে রাজ্য সরকারি কর্মচারীদের মধ্যে একটু অসন্তোষ রয়েই গেছে। একদিকে বকেয়া DA পরিশোধ নিয়ে হয়েছে আন্দোলন, অন্যদিকে কেন্দ্রের হারে মহার্ঘভাতা দেওয়ার দাবীতেও হয়েছে নানান বিক্ষোভ।
তবে চলতি বছরের শুরুতেই খুশির জোয়ারে ভাসতে চলেছেন কেন্দ্রীয় সরকারি কর্মচারীরা। কারণ জানুয়ারি থেকেই কেন্দ্র সরকারের কর্মীদের মহার্ঘভাতা একলাফে বাড়তে চলেছে অনেকটা। সূত্রের খবর, বছরের প্রথম মহার্ঘভাতা বৃদ্ধির সময় ৪ শতাংশ হারে বাড়তে পারে কেন্দ্রীয় সরকারি কর্মচারীদের মহার্ঘভাতা। ফলে একলাফে ৪৬ শতাংশ থেকে বেড়ে সেটি হতে পারে ৫০ শতাংশ। মনে করা হচ্ছে সপ্তম বেতন কমিশনের আওতায় ৪ শতাংশ হারে এই ডিএ বৃদ্ধি ঘটতে পারে।
এর মাঝেই অষ্টম বেতন কমিশন নিয়ে সংসদের অধিবেশনে প্রশ্নের মুখে পড়ল কেন্দ্র সরকার। রাজ্যসভায় সাংসদ রামনাথ ঠাকুর এই বিষয়টি নিয়ে সরকারের কাছে প্রশ্ন ছুঁড়ে দিয়ে বলেন যে দিন প্রতিদিন দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধির সমস্যা বৃদ্ধি পাচ্ছে দেশে। এমন অবস্থায় সরকারি কর্মীদের বেতন বৃদ্ধি পাওয়া দরকার। কারণ দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধির কারণেই খরচ বাড়ছে তাদের। এই মর্মে অষ্টম বেতন কমিশন চালুর বিষয়ে তিনি জানতে চান সরকারের কাছে। কারণ এই সময়ে যেখানে দেশজুড়ে সরকারি কর্মীদের মধ্যে বেতন নিয়ে অসন্তোষ বাড়ছে, সেখানে দাঁড়িয়ে এই প্রশ্নটি খুবই প্রাসঙ্গিক।
তবে মনে করা হচ্ছে শীঘ্রই অষ্টম বেতন কমিশন চালু করতে পারে কেন্দ্র। এই মর্মে এখনো কোনো ঘোষণা না করা হলেও এই বিষয়ে কেন্দ্রীয় অর্থ মন্ত্রকের অন্দরমহলে যে তোড়জোড় চলছে, তা বোঝা যাচ্ছে। উল্লেখ্য, প্রতি ১০ বছর পর পর সরকারি কর্মচারীদের জন্য নতুন বেতন কমিশন লাগু করা হয়। বর্তমানে চলেছে সপ্তম বেতন কমিশন। তবে শীঘ্রই এর মেয়াদ শেষ হতে চলেছে। তাই অষ্টম বেতন কমিশন লাগুর সম্ভাবনা বাড়ছে। আর এমনটা হলে কেন্দ্রীয় সরকারি কর্মীদের বেতন এক লাফে বাড়বে অনেকটাই।