নিজের রোজগারের টাকা সঞ্চয় করতে কেই না চায়। আর তার সাথে যদি পাওয়া যায় জীবনবিমা, সঙ্গে ভালো হারে রিটার্ণের অঙ্ক, তাহলে তো সোনায় সোহাগা। কিন্তু বর্তমানে আর্থিক বিনিয়োগের ক্ষেত্রে অন্যান্য সংস্থার উপর তেমন ভরসা করেন না নাগরিকরা। কারণ অবশ্য একটাই, ভুঁইফোড় সব চিটফান্ড। তবে সেসব ঝুঁকি ছাড়াই টাকা বিনিয়োগ করার বিষয়ে অনেকের প্রথম পছন্দ হল LIC। অনেকেই এই বীমা সংস্থাকে একমাত্র ভরসযোগ্য সংস্থা বলে মনে করেন।
LIC হল একটি জাতীয় বীমা সংস্থা। তাই ভারতীয় জীবনবিমা নিগম লিমিটেডের রয়েছে আকর্ষণীয় কিছু প্ল্যান, যার মাধ্যমে পাওয়া যায় ভালোরকম রিটার্ন পাওয়ার সুযোগ। তবে অনেকেরই মনে এই জীবনবিমা পলিসি সংক্রান্ত অনেক প্রশ্ন রয়েছে, যা সকলেরই কমবেশি জেনে রাখা দরকার। এমন অনেকেই রয়েছেন যারা এলআইসি’র কোনো পলিসি নিয়ে সঠিক সময় অবধি চালাতে পারেন না। পলিসি চলাকালীন অনেকসময় দুর্ভাগ্যবশত পলিসি হোল্ডারের মৃত্যুও হয়। কিন্তু এমনটা হলে ডেথ কলম কিভাবে করা যাবে? এই প্রশ্নের উত্তর রইল নিবন্ধের বাকি অংশে।
কোনো পলিসি চলাকালীন পলিসি হোল্ডারের মৃত্যু হলে পলিসির জমাকৃত টাকা সহ ডেথ ক্লেমের টাকাও পাওয়া যায়। এক্ষেত্রে ডেথ ক্লেমের জন্য LIC অফিসে গিয়ে আবেদন করতে হবে পলিসির নমিনিকে। এক্ষেত্রে টাকা মৃত পলিসি হোল্ডারের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট পাল্টে নমিনির ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে টাকা নেওয়ার জন্য NEFT ছাড়াও কয়েকটি ফরম জমা দিতে হবে। সেই সঙ্গে জমা দিতে হবে নমিনির কিছু নথি। সেগুলি হল- নমিনির আধার কার্ড, প্যান কার্ড, ড্রাইভিং লাইসেন্স, ব্যাংকের পাসবুকের প্রথম পৃষ্ঠা ও একটি বাতিল চেক ইত্যাদি। এছাড়াও সঙ্গে পলিসি হোল্ডারের ডেথ সার্টিফিকেট, আধার কার্ড, পলিসি বন্ডের কাগজ জেরক্স জমা দিতে হবে। প্রতিটি জেরক্স নমিনিকর সেলফ-এটেস্টেড করতে হবে।
এগুলির সঙ্গে নমিনিকে একটি দরখাস্ত জমা দিতে হবার স্থানীয় LIC অফিসে। সেই দরখাস্তের মধ্যে পলিসি হোল্ডারের মৃত্যুর স্থান, সময় সহ মৃত্যুর কারণের বিবরণ লিখতে হবে। এই সব কিছু জমা করার পর হবে যাচাইকরণের প্রক্রিয়া। এর মাধ্যমে LIC পলিসি হোল্ডারের মৃত্যুর কারণ ও সব নথিকে যাচাই করে। সেখানে কোনরূপ সমস্যা না হলে একমাসের মধ্যে পুরো টাকা দেওয়া হয়। এক্ষেত্রে টাকা ঢুকবে নমিনির দেওয়া নির্দিষ্ট ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে।