উইকেন্ডের দু’দিনের ছোট্ট ট্যুর হোক বা বিশেষ কোনো মুহূর্তের উদযাপন, বাঙালির কাছেপিঠের গন্তব্য হয় একটাই। আর সেটা হল দীঘা। অনেকে আবার শীতের হালকা আমেজে ঝাউবনের মৃদুমন্দ বাতাসের মাঝে কষ্ট করে উনুন জ্বালিয়ে বনভোজন করতেও বেছে নেন দীঘাকে। আবার অনেকেই রয়েছেন ভোজনরসিক, যারা সামুদ্রিক মাছ ও কাঁকড়ার রসনাতৃপ্তির উদ্দেশ্যে পাড়ি দেন বাংলার এই সমুদ্র সৈকতে। তবে উদ্দেশ্য যাই হোক না কেন, দীঘা সমুদ্র সৈকত বাঙালির মনে যেন একটা আলাদা জায়গা পায়।
দীঘায় রয়েছে শান্ত সমুদ্রের নাতিশীতোষ্ণ নোনা বাতাসের সরগম। এই সমুদ্র সৈকতের ফাঁকা বালিয়াড়িতে বসে সূর্যোদয় বা সূর্যাস্ত বেশ নয়নাভিরাম দৃশ্য। তেমনই সেই সমুদ্র সৈকতে রয়েছে মৎস্যলালসা নিবারণের উপায়। দীঘার বিস্তীর্ণ বালিয়াড়ি জুড়ে রয়েছে বহু সামুদ্রিক মাছ ও কাঁকড়ার খুচরো স্টল। যে স্টলে গেলেই খুব কম দামে উদরাভিরাম হয় বাঙালির। এককথায় দীঘা হল বাঙালির কাছে থাকা, খাওয়া ও ঘোরাফেরার মাঝে দিন দুয়েক কাটানোর একটি নিদারুণ বিকল্প।
বাঙালির মধ্যে আবার অনেকেই সামুদ্রিক মাছের স্বাদ এতটাও পছন্দ করে না। তাই দীঘা গড়লে তাদের পক্ষে খাবার মেন্যু সিলেকশন নিয়ে একটা অস্বস্তি থেকেই যায়। তবে তোদের মধ্যে যারা ফুচকা খেতে পছন্দ করেন, টকদের জন্য এবার দীঘা গিয়ে মেন্যু নিয়ে দুবিধায় পড়তে হবেনা। তার কারণ হল একটাই। আর সেটা হল এটাই যে এবার থেকে দীঘার সৈকতে শুধুমাত্র মাছ ভাজা নয়, পাওয়া যাচ্ছে হরেক স্বাদের ফুচকা। ফুচকার যে পাঁচ ভ্যারাইটি রয়েছে এখানে, তা শুনলেই আপনার জিভে জল আসবে।
দীঘার সমুদ্র সৈকত সংলগ্ন ঢেউ সাগর পার্ক রয়েছে। এই পার্কের ভেতরেই একটি ইউনিক ফুচকার স্টল খোলা হয়েছে। এই স্টলে আপনি আপনার পছন্দমতো স্বাদের ফুচকা খেতে পারবেন। এক্ষেত্রে আপনাকে প্রতি প্লেটে গুনতে হবার মাত্র ২০ টাকা করে। এখানে আপনি যেমন পেয়ে যাবেন তেঁতুল জলের ফুচকা, তেমনই রয়েছে দই ফুচকা ও চাটনি ফুচকা। তবে এগুলি তো সব জায়গাতেই পাওয়া যায়। কিন্তু এখানের বিশেষত্ব হল যে এখানে আপনি সঙ্গে পেয়ে যাবেন গন্ধরাজ লেবুর ফুচকা, পুদিনা পাতার ফুচকা ও জলজিরা ফুচকা। তাই দীঘা গিয়ে হরেকরকম ফুচকা ট্রাই করতে জরনে ভুলবেন না।