বাঙালি ঘুরতে পছন্দ করে। তাই দেশের নানা পর্যটন কেন্দ্র বেশি বাঙালি পাওয়া যায়। আর বাংলার বুকে অবস্থিত পর্যটন কেন্দ্রগুলির মধ্যে অন্যতম হল দীঘা। দীঘায় রয়েছে শান্ত সমুদ্রের নাতিশীতোষ্ণ নোনা বাতাসের সরগম। এই সমুদ্র সৈকতের ফাঁকা বালিয়াড়িতে বসে সূর্যোদয় বা সূর্যাস্ত বেশ নয়নাভিরাম দৃশ্য। তেমনই সেই সমুদ্র সৈকতে রয়েছে মৎস্যলালসা নিবারণের উপায়। দীঘার বিস্তীর্ণ বালিয়াড়ি জুড়ে রয়েছে বহু সামুদ্রিক মাছ ও কাঁকড়ার খুচরো স্টল। যে স্টলে গেলেই খুব কম দামে উদরাভিরাম হয় বাঙালির। তবে এবার বাঙালির দীঘা ভ্রমণের অভিজ্ঞতাকে আরো বেশি চমকপ্রদ করে তুলতে বিশেষভাবে আগ্রহী হয়েছে রাজ্য। তাই এবার নেওয়া হয়েছে এক বড় পদক্ষেপ।
জানা গেছে, এবার থেকে দীঘা গিয়ে সেখানে আশেপাশের জায়গা ঘুরে দেখার জন্য ভাড়ায় মিলবে বাইক। আজ্ঞে হ্যাঁ, এবার থেকে বাংলার সৈকত নগরীতে মিলবে ‘বাইক অন রেন্ট’ পরিষেবা। অর্থাৎ, দীঘায় গিয়ের কোনো পর্যটক বাইক ভাড়ায় নিয়ে ঘুরতে পারবেন। তবে শুধু দীঘা নয়, বাংলার আরো কিছু পর্যটন স্থলে এই পরিষেবা চালু হতে চলেছে। জানা গেছে, দীঘার পাশাপাশি এই পরিষেবা চালু হবে মন্দারমনি ও দার্জিলিংয়েও। এর এই খবর দিয়েছেন রাজ্যের পরিবহন মন্ত্রী স্নেহাসিস চক্রবর্তী।
কিন্তু তখন প্রশ্ন হচ্ছে যে ব্যক্তিগত নামে রেজিস্টার থাকা বাইক এভাবে ভাড়ায় দেওয়া তো আইনবিরুদ্ধ, তাহলে এক্ষেত্রে পুলিশি ঝামেলা কিভাবে এড়ানো যাবে? জানা গেছে, এর জন্য ইতিমধ্যে যেসব বাইক ভাড়ায় দেওয়া হবে সেগুলির বাণিজ্যিক রেজিস্ট্রেশন ও সেই অনুযায়ী নম্বর প্লেট দেওয়ার কাজ শুরু হয়ে গিয়েছে। গত ৬ মাস ধরে এই কাজ চলছে বলে জানা গেছে। সূত্রের খবর, শীঘ্রই এই পরিষেবা চালু হয়ে যাবে দীঘায়।
অর্থাৎ, এবার দীঘা এলেই গোয়া ভ্রমণের স্বাদ পেয়ে যাবেন পর্যটকরা। এই মর্মে রাজ্যের পরিবহন মন্ত্রী স্নেহাসিশ চক্রবর্তী বলেন, “বেশ কিছু জায়গায় বাইক ভাড়া করে চালানোর বিষয়টি চালু আছে। এ বার এ রাজ্যেও এই ব্যবস্থা চালু করা হল।” অন্যদিকে এই পরিষেবা চালুর বিষয়ে দীঘা শংকরপুর উন্নয়ন পর্ষদের কার্যনির্বাহী আধিকারিক সৌভিক ভট্টাচার্য জানিয়েছেন, “পরিবহন দফতর থেকে এই সংক্রান্ত নির্দেশ এখনওএসে পৌঁছায়নি দিঘা শংকরপুর উন্নয়ন পর্ষদ আধিকারিক বা কাঁথি মহকুমা শাসকের কাছে। এই সংক্রান্ত নির্দেশ এলেই তা কার্যকর করা হবে দ্রুতই।”