বাংলায় শুরু হয়েছে বসন্তকাল। শীতের প্রবল ঠান্ডায় অনেকেই বেড়াতে যেতে পারেন না। তাই এই সময়কে অনেকেই বেছে নেন বেড়ানোর সময় হিসেবে।তাই এই সময়ে কেউ কেউ বাইরে বেড়াতে যাওয়ার প্ল্যান করছেন। এক্ষেত্রে কারো গন্তব্য যেমন হবে পাহাড়, কারো সমুদ্র, কারো ঐতিহাসিক স্থান, কারো ধর্মীয় স্থান, কারো আবার কখনো কোনো শান্ত জায়গা। এর মাঝে অনেকেই বিদেশ ট্যুরে কিংবা ভিনরাজ্যের কোনো দর্শনীয় স্থানে যাওয়ার পরিকল্পনা করছেন। অনেকেই আবার কাছেপিঠের কোনো সুন্দর জায়গা খুঁজছেন নেন হলিডে ডেস্টিনেশন হিসেবে। সেখানেই দিনকয়েক কাটিয়ে আবার শুরু হবে কর্মব্যস্ততা।
বাঙালির কাছেপিঠের সুন্দর জায়গার অন্যতম হল দার্জিলিং ও দীঘা। উত্তরবঙ্গে অবস্থিত ছবির মতো শহর দার্জিলিংকে বাংলার পর্যটন শিল্পের অন্যতম আধার হিসেবে ধরা হয়। দার্জিলিংয়ে বছরের নানা সময়ে হাজার হাজার পর্যটক ভিড় জমান। তবে অক্টোবর থেকে ডিসেম্বর অবধি সেখানে সবথেকে বেশি ভিড় হয়। শুধু বাঙালি নয়, ভিনদেশ থেকেও পর্যটকরা আসেন দার্জিলিংয়ে। সেই কারণে এই শীতের শেষ এবং বসন্তের শুরুর সময়েও দার্জিলিংয়ে ভিড় থাকে ভালোরকম। এবার অনেকেই রয়েছেন যারা কোলাহল বেশি একটা পছন্দ করেন না। তাই কোলাহল এড়িয়ে নিরিবিলি স্থানের সন্ধানে এমন মানুষরা দার্জিলিংয়ে এসেও হতাশ হয়েই ফিরে যান।
তবে এবার শান্তিপ্রিয় এবং প্রকৃতিপ্রেমীদের মানুষদের জন্য রয়েছে সুখবর। কারণ দার্জিলিং থেকে ঢিল ছোঁড়া দূরত্বেই রয়েছে একটি এমন অপূর্ব সুন্দর স্থান, যেখানে গেলে দিন দশেক আর ফিরতে ইচ্ছে করবে না। কারণ এখানে পাহাড়ের স্বাদ পাবেন ভরপুর। এখানের সকালে যেমন পাবেন দার্জিলিং চায়ের সুবাস, তেমনই আবার বেলা বাড়লে দেখতে পাবেন কাঞ্চনজঙ্ঘাকেও। একইভাবে চা বাগানের সমস্ত কাজকর্ম দেখতে পাবেন। আর এই জায়গাটি হল লোপচু। শিলিগুড়ি থেকে কাঁচসি অবস্থিত এই জায়গাটি। এখানের হোমস্টে-তে চা প্রেমীদের জন্য দারুন ব্যবস্থা থাকে। কারণ দার্জিলিং চা এখানে আপনি পাবেন আনলিমিটেড।
তাই যারা পাইনের জঙ্গল ভালোবাসেন, যারা একান্ত পরিবেশ ভালোবাসেন, যারা প্রকৃতির নেশায় বুঁদ হয়ে হারিয়ে যেতে পছন্দ করেন, তাদের জন্য একটি দুর্দান্ত ডেস্টিনেশন হবে এই লোপচু। কিন্তু এখন প্রশ্ন হল এই স্থানে পৌঁছাবেন কিভাবে। এই বিষয়ে আপনাদের নিজেদের অনুসন্ধান করতেই হবে। তবে একটা আইডিয়া দেওয়া রইল। কলকাতা থেকে ট্রেনে আপনাকে যেতে হবে নিউ জলপাইগুড়িতে বা বিমানে হলে আপনাকে নামতে হবে বাগডোগরা এয়ারপোর্টে। এবার শিলিগুড়ি বা এনজেপি স্টেশন বা বাগডোগরা বিমানবন্দর থেকে গাড়ি ভাড়া করে সড়ক পথে পৌঁছে যান লোপচু। তিস্তা বাজার পেরিয়ে যেতে হবে। ঘন্টাখানেকের পথ।