ভারতের নাগরিকদের মধ্যে দিনের পর দিন ব্যবসা করার প্রবণতা বৃদ্ধি পাচ্ছে ব্যাপকভাবে। শিক্ষিত হয়ে গতানুগতিকভাবে চাকরি না করে স্বাবলম্বীভাবে কিছু করার প্রচেষ্টা দেখা যাচ্ছে অনেকের মধ্যেই। তাই অনেকেই এখন বিভিন্ন ‘স্টার্ট-আপ’ করার কথা চিন্তাভাবনা করছেন। অনেকে আবার ছোট্ট স্টার্ট-আপ থেকেই সেটিকে বড় ব্যবসায় রূপান্তরিত করে ফেলছেন। তাই বিশেষজ্ঞদের মতে, দেশে চাকরির দুরবস্থা থেকেই মানুষের মনে বিগত দশকে এই পরিবর্তন এসেছে। বলা বাহুল্য, চাকুরী প্রিয় বাঙালিও কিন্তু এখন ব্যবসার সঙ্গে জড়িয়ে ফেলেছে নিজেদের।
কিন্তু ব্যবসার কথা ভাবা আর ব্যবসা শুরু করার মধ্যে বিস্তর পার্থক্য রয়েছে। কারণ ব্যবসা করার কথা ভেবে নেওয়া যায় অনায়াসে, কিন্তু ব্যবসা শুরু করতে গেলে মূলধন থেকে কাঁচামালের যোগান এমনকি দ্রব্যের বিক্রয়স্থল খুঁজতে হিমশিম খেয়ে যান অনেকেই। তবে এর মাঝেই বেশ কিছু ছোটখাটো ব্যবসা রয়েছে, যা আপনি অনায়াসে শুরু করতে পারেন বাড়িতে বসেই। বেশি মূলধন বা পুঁজি না রেখে, কোনোরকম ঝুঁকি না নিয়ে শুরু করা হয় এসব বেচাকেনা। এই প্রতিবেদনে আপনার জন্য এমন একটি ব্যবসার সন্ধান রয়েছে যা আপনি মাত্র ১০ হাজার টাকা থেকেই শুরু করতে পারবেন।
বসন্ত এসে গেছে। আর বসন্ত মানেই রংয়ের উৎসব দোল বা হোলি। সারা দেশে পালিত হয় এই উৎসব। বাংলায় দোলযাত্রার ধুম একটু বেশিই। সেই কারণেই এই উৎসবের যেসব সামগ্রী অর্থাৎ, আবির, টুপি, চশমা, ফলস চুল, পিচকারী- এসবের চাহিদা তুঙ্গে থাকে। আর দোলের আগে এইসব সামগ্রী তৈরি ও বিক্রি আপনাকে রোজগারের দিশা দেখাতে পারে। বাজার থেকে কম দামে কাঁচামাল কিনে এইসব সামগ্ৰী বানিয়ে আপনি বিক্রি করতে পারেন বাড়ি থেকেই। এতে বসন্তের উৎসবে কয়েকহাজার টাকা রোজগারের সুযোগ থাকছে।
এবার জেনে নিন এই ব্যবসায় লাভ ও ক্ষতির হিসেব কেমন হবে। আপনি ছোট শহর বা মফঃস্বল বা গ্রামে বসবাস করলে শুরুতে পাঁচ হাজার টাকার কাঁচামাল কিনে আনুন। সেগুলিকে বাড়ি থেকে বা সামান্য জায়গায় দাঁড়িয়ে বিক্রি করতে পারবেন। এক্ষেত্রে ৫০ শতাংশ রোজগারের সুযোগ থাকছে। অর্থাৎ, পাঁচ হাজার টাকার জিনিস বিক্রি করে আপনি চার হাজার টাকার বেশি রোজগার করতে পারবেন। বিক্রির হার দেখে আরো কাঁচামাল কিনুন। এতে ব্যবসার পরিসর বৃদ্ধি পাবে।