বর্তমান সময়ে একজন শিশুকে ভালোভাবে মানুষ করতে হলে তাকে যথাযথ শিক্ষা দেওয়া দরকার। আর এই বাক্যটি আজকাল সমাজের বুকের যেমন এক অমোঘ সত্য হয়ে দাঁড়িয়েছে। সেই কারণেই আজকাল শিশুর জন্মের একবছর পর থেকেই অভিভাবকরা শিশুকে স্কুলে পাঠানো বা বাড়িতে পড়াশুনা করানোর অভ্যাস তৈরি করতে চান। কারণ আজকাল মেধার ইঁদুর দৌড়ে সব শিশুকেই অন-ট্র্যাক থাকতে হয়। নাহলেই থেকে যায় পিছিয়ে পড়ার আশঙ্কা।
তবে অভিভাবকরা সাধ্যমতো বা সাধ্যের বাইরে গিয়ে চেষ্টা করলেও অনেক শিশুর ক্ষেত্রে বুদ্ধির বিকাশ সেভাবে ঘটেনা। নানা কারণে শিশুর এই মেধার বৃদ্ধি ঘটেনা বয়সের সঙ্গে। তার অন্যতম কারণ হল অপুষ্টি। আজকাল খাবারের অভাব সেভাবে না থাকলেও পুষ্টির অভাব থেকেই যায় শিশুর মধ্যে। সঠিক খাদ্যাভ্যাসের অভাবেই এমনটা হয়ে থাকে বলে মনে করেন পুষ্টিবিদরা। তাই শিশুর বুদ্ধির বিকাশ ঘটাতে তাকে সঠিক খাবার দেওয়া উচিত। একনজরে দেখে নিন শিশুর পক্ষে কোন কোন খাবার বেশি উপকারী।
● দুধ: দুধকে সুষম খাদ্য বলে গণ্য করা হয়। কারণ একমাত্র দুধেই রয়েছে উপকারী সব উপাদান। সেই কারণে শিশুদের দুধ খাওয়ানোর পরামর্শ দেওয়া হয়। একদিকে দুধে থাকা ক্যালসিয়াম যেমন শিশুর হাড় ও মস্তিষ্কের বিকাশ ঘটায়, তেমনই আবার নানা ভিটামিন ও খনিজ উপাদান শিশুর মেধা বাড়াতেও সাহায্য করে।
● ডিম: সবথেকে সস্তার সহজপাচ্য খাবার হল ডিম। কারণ একটি ডিমে যে পরিমান প্রোটিন পাওয়া যায়, তা আমাদের শরীরে একদিনের জন্য প্রোটিনের চাহিদা পূরণ করতে পারে। এছাড়াও ডিমে থাকে অনেক উপকারী উপাদান। সেই কারণেই শিশুকে প্রতিদিন না হোক, একদিন অন্তর একটি গোটা ডিম সেদ্ধ খাওয়ানো উচিত।
● কাঠবাদাম: শিশুদের মস্তিষ্কের সঠিক বিকাশ ঘটানোর জন্য কাঠবাদাম একটি দারুন টোটকা হতে পারে। কারণ কাঠবাদামে পাওয়া উপকারী উপাদানগুলির মধ্যে অন্যতম হল ভিটামিন-ই, যা একটি অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট। সেই কারণে শিশুর স্মৃতিশক্তি বাড়াতে রোজ কাঠবাদাম খাওয়ানো উচিত। এছাড়াও পিনাট বাটার খাওয়াতে পারেন পাউরুটির সঙ্গে।
● মটরশুঁটি: শীতকালে পাওয়া সব সবজির মধ্যে অন্যতম উপকারী হল মটরশুঁটি। কারণ এতে ভরপুর মাত্রায় থাকে প্রোটিন, ফাইবার এবং কার্বোহাইড্রেট। এই উপাদান একটি শিশুর মস্তিষ্কের গঠনে সাহায্য করে। যে কারণে রোজ শিশুকে মটরশুঁটি খাওয়ালে তার বুদ্ধি খুলবে চটজলদি।
Disclaimer: প্রতিবেদনটি তথ্যের ভিত্তিতে লেখা হয়েছে। বাস্তব জীবনে শিশুর যেকোনো সমস্যায় আগে শিশু বিশেষজ্ঞর পরামর্শ নেওয়া উচিত।