কর্মজীবনের পর বয়স বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে মানুষের শরীরেও আসে বার্ধক্যজনিত ক্লান্তির ছাপ। সেই সময় কাজের বিষয়ে আর সক্রিয়তা থাকেনা। এই বয়সটিকে অনেকেই অবসর জীবন বলে থাকেন। এই অবসর জীবনে এসে সিংহভাগ মানুষের উপার্জন প্রায় বন্ধ হয়ে যায়। তখন ছেলে বা মেয়ের উপর নির্ভরশীল হওয়া ছাড়া আর উপায় থাকে না। কারণ তখনো তো আর খরচ থেমে থাকে না। তবে সেটি যাতে না হতে হয়, সেজন্যই রয়েছে পেনশন ব্যবস্থা।
বিগত দশক অবধি দেশের সরকারি কর্মচারীদের অবসর গ্রহণের পর পেনশন দেওয়া হত। বিভিন্ন বেসরকারি ক্ষেত্রেও বিষয়টি চালু ছিল। তবে এমন অনেকেই আছেন যারা এইসব স্থানে স্থায়ীভাবে কর্মরত নন। তাহলে তাদের বয়স বাড়ার সঙ্গে উপার্জনের একটা চিন্তা থেকেই থাকে। তবে তাদের জন্যও রয়েছে বিভিন্ন পেনশন স্কিম বা পেনশন পলিসি। সেখানে অবসরের আগে কিছু টাকা জমিয়ে অবসর জীবনে মাসিক পেনশন পাওয়া যায়। এবার LIC-ও এরকম একটি পেনশন স্কিম নিয়ে এলো বাজারে।
LIC-র এই স্কিমটি হল ‘সরল পেনশন প্ল্যান’। এটি হল মূলত একটি ইনস্ট্যান্ট ইয়ারলি প্ল্যান। অর্থাৎ এই পরিকল্পনায় আপনি যখনই পলিসিটি নেবেন, তখন থেকেই আপনার পেনশন রিটার্ন শুরু হয়ে যাবে। এর অর্থ হল আপনাকে রিটার্নের জন্য দীর্ঘ সময় অপেক্ষা ককরে বসে থসক্তে হবেনা। পাশাপাশি, এই পলিসির অধীনস্থ যদি কোনো ব্যক্তি পেনশন চলাকালীন মারা যান, তাহলে পুরো টাকাটি তার নমিনি পেয়ে যাবেন। এছাড়াও যদি কোনো ব্যক্তি পলিসি নিয়ে মারা যান, সেক্ষেত্রে তার স্ত্রী টাকাটি পেয়ে থাকবেন। স্ত্রীয়ের অবর্তমানে যার সন্তান পাবেন রিটার্নের টাকা। অর্থাৎ, যাকেই নমিনি করা হবে, পেনশন হোল্ডারের অবর্তমানে সেই পাবে রিটার্নের টাকা।
উল্লেখ্য, এই পলিসিতে এবাট প্রিমিয়াম জমা দিয়ে পেনশন পাওয়ার সুবিধা রয়েছে জীবনের শেষদিন অবধি। তবে এক্ষেত্রে পেনশনের পরিমান বিনিয়োগকৃত অর্থের উপর নির্ভর করবে। তবে এই পলিসিতে বিভিন্ন ধরণের টার্ম পেনশন আপনি নিতে পারবেন। সেক্ষেত্রে আপনি মাসিক কিংবা ত্রৈমাসিক কিংবা ষান্মাসিক হারেও পেনশন লাভ করতে পারবেন। এটি খুব সহজে LIC এজেন্ট বা সরাসরি ব্রাঞ্চে গিয়েও খুলতে পারবেন।