পশ্চিমবঙ্গের মতো রাজ্যে বেকারত্বের হার বাড়ছে দিন দিন। জনসংখ্যার সঙ্গে পাল্লা দিয়ে বাড়ছে বেকার যুবক ও যুবতীদের সংখ্যাটা। আর রাজ্যে একাধিক নিয়োগের ক্ষেত্রে দুর্নীতি সামনে আসায় এখন কার্যত দিশেহারা রাজ্যের শিক্ষিত যুব সমাজ। তবে ছবিটা যে শুধুমাত্র পশ্চিমবঙ্গের বুকে এতটা ভয়াবহ, তা কিন্তু নয়। গোটা দেশেই লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ছে বেকারদের সংখ্যা। শিক্ষিত যুব সমাজের বেশিরভাগই আজ কর্মহীন। কাজের খোঁজে হন্যে হয়ে ঘুরে বেড়াচ্ছেন কেউ কেউ। কেউ আবার সরকারি চাকরির আশায় দিন গুনছেন।
আর এই অবস্থায় রাজ্যের বেকার যুবক ও যুবতীদের এক সুখবর শোনাল পশ্চিমবঙ্গের রাজ্য সরকার। রাজ্যে অনেক শুন্য পদে শীঘ্রই হবে নিয়োগ, এমনটাই জানা গেছে নবান্ন সূত্রে। এর ফলে হাজার হাজার বেকার যুবক ও যুবতী কর্মসংস্থান পেতে চলেছেন বলে খবর। ইতিমধ্যে বেশ কিছু নিয়োগ হয়ে গিয়েছে। আবার বেশ কিছু নিয়োগের ঘোষণা লোকসভা ভোটের নির্ঘন্ট ঘোষণার আগেই হতে পারে বলে সূত্রের খবর। এখন দেখে নিন যে কোন দফতরে আসন্ন সময়ে নিয়োগ করতে পারে মমতা সরকার।
নবান্ন সূত্রে জানা গেছে, শীঘ্রই রাজ্যের বনবিভাগে নিয়োগের একটি বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করতে পারে রাজ্য সরকার। আর এই খবরটি শোনা গেছে রাজ্যের বন দফতর মারফত। জানা গেছে, রাজ্যের বোন বিভাগে হাজার আহাজার শূন্যপদ তৈরি হয়েছে, যেসব শূন্যপদে শীঘ্রই নিয়োগ হবে। তবর এক্ষত্রে পুলিশের মতো সিভিক নিয়োগের মডেলকে অনুসরণ করা হতে পারে। অর্থাৎ, এবার থেকে সিভিক বন কর্মী নিয়োগ হতে চলেছে রাজ্যে। আর এমনটা হলে রাজ্যের আরো হাজার হাজার বেকার খুঁজে পাবেন বেঁচে থাকার দিশা।
সূত্রের খবর, এবার বন দফতরের সিভিক ভলান্টিয়ার পদে নিয়োগ করতে চলেছে রাজ্য সরকার। এক্ষেত্রে যেভাবে পুলিশের সিভিক ভলান্টিয়ারদের নূন্যতম যোগ্যতায় নিয়োগ করে সরকার, সেভাবেই নূন্যতম যোগ্যতায় চাকরি মিলবে বন দফতরে। জানা গেছে, ৬০ বছর বয়স অবধি এই পদে চাকরি করা যাবে। তবে ৬০ বছরের পর অবসর নেওয়ার পরেও তাদের ভাতা দেওয়া হতে পারে। আর এই পদে প্রাথমিকভাবে কর্মীদের বেতন হবে মাসে ১২ হাজার টাকা। এই বিষয়ে আর কোনো তথ্য প্রকাশ করেনি সরকার।