সামনেই লোকসভা ভোট। দেশের গণতন্ত্রের সবথেকে বড় উৎসব এই নির্বাচন। সেই কারণেই চলতি বছরের শুরুতেই যেন কেন্দ্রীয় সরকারি কর্মচারীদের জন্য আসবে এক বড়সড় সুখবর, তা মোটামুটি নিশ্চিত। যদিও গত বছর থেকেই খুশির জোয়ারে ভাসছেন কেন্দ্রীয় সরকারি কর্মচারীরা। কারণ গত বছর মোদি সরকারের কর্মীদের মহার্ঘভাতা একলাফে বেড়েছিল অনেকটা। বছরের প্রথম মহার্ঘভাতা বৃদ্ধির সময় ৪ শতাংশ হারে বেড়েছিল মহার্ঘভাতা। ফলে একলাফে ৪২ শতাংশ থেকে বেড়ে সেটি হয়েছিল ৪৬ শতাংশ। আর তারপর থেকেই এই বছরে ফের একবার এই ভাতা বেড়ে ৫০ শতাংশে পৌঁছানোর সম্ভাবনা তৈরি হয়েছে।
এদিকে কেন্দ্রের মতোই অন্যান্য রাজ্যের সরকারগুলি কর্মীদের মহার্ঘভাতা প্রদান করে থাকে। সম্প্রতি, মধ্যপ্রদেশ, ওড়িশা, কর্ণাটক, ঝাড়খণ্ড সহ বেশ কয়েকটি রাজ্য সরকার তাদের রাজ্য সরকারি কর্মচারীদের জন্য মহার্ঘ ভাতা বাড়িয়েছে। যার ফলে খুশির জোয়ার এসেছে সেইসব রাজ্যের সরকারি কর্মীদের মধ্যে। তবে ভোটের আগে কর্মীদের খুশি করার তালিকায় নাম জুড়ে নিলো আরো একটি রাজ্যের সরকার। এবার হিমাচল প্রদেশ রাজ্যের সরকারি কর্মীদের মহার্ঘভাতা বৃদ্ধির বিষয়ে একটি গুরুত্বপূর্ণ ঘোষণা হল, যা রীতিমতো বসন্তের মরশুমে সুখবর।
সম্প্রতি হিমাচল প্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী সুখবিন্দর সিং সুখু এই বিষয়ে একটি বড় ঘোষণা করেছেন। তিনি নিজের এক্স হ্যান্ডেল থেকে একটি পোস্ট করে জানান এই বৃদ্ধি প্রসঙ্গে। সেই পোস্টে তিনি লেখেন, ‘রাজ্য সরকার চার শতাংশ ডিএ বাড়ানোর ঘোষণা করল। রাজ্যের প্রতিটি অংশের মানুষ যাতে সমৃদ্ধশালী হয়ে ওঠেন, তা নিশ্চিত করার সংকল্প নিয়েছি আমরা। রাজ্যের উন্নয়নের গাঁথা লেখা সরকারি কর্মচারীদের আর্থিক অবস্থা আরও মজবুত এবং তাঁদের ভবিষ্যৎ আরও সুরক্ষিত করার জন্য আমাদের সরকার বদ্ধপরিকর।’
অর্থাৎ, এর আগে এই রাজ্যের সরকারি কর্মীরা ডিএ পেতেন ৩৪ শতাংশ হারে। তা এবার বেড়ে হতে চলেছে ৩৮ শতাংশ। অন্যদিকে ২০২৪-এর বৃদ্ধি কার্যকর হলে কেন্দ্রীয় সরকারি কর্মীদের ডিএ পৌঁছাবে ৫০ শতাংশে। তাই কেন্দ্রের সঙ্গে এই রাজ্যে ও সরকারি কর্মীদের ডিএ-র পরিমাণের ফারাক একটা রয়েই যাচ্ছে। উল্লেখ্য, এই ডিএ বৃদ্ধি কিন্তু নির্ভর করে শ্রম মন্ত্রকের দ্বারা তৈরি সূচকের ভিত্তিতে। গত ফেব্রুয়ারিতে এই সূচক বৃদ্ধি পেয়েছিল ০.১০ শতাংশ। আর এই বৃদ্ধির ধরা বজায় থাকার ককেরণে ডিএ বৃদ্ধির সম্ভাবনা বাস্তবে রূপান্তরিত হয়েছে সেই রাজ্যে।