প্রথম পাতা রাজ্য দেশ আন্তর্জাতিক শিক্ষা রাজনীতি লাইফস্টাইল

Travel: ঝর্ণার পাশে সারি সারি পলাশ গাছ, বসন্ত এলেই দ্বিগুন হয় পুরুলিয়ার এই স্থানের সৌন্দর্য্য

বাংলার আবহাওয়া থেকে রীতিমতো উধাও হয়েছে শীত। সন্ধ্যে থেকে হালকা ঠান্ডা শরীরে অনুভূত হচ্ছে, ভোরের দিকেও রয়েছে হালকা ঠান্ডার চাদর। কিন্তু সূর্য ওঠার পর থেকেই যেন শীতের কোনো প্রভাব দেখা…

Published By: Debaprasad Mukherjee | Published On:

বাংলার আবহাওয়া থেকে রীতিমতো উধাও হয়েছে শীত। সন্ধ্যে থেকে হালকা ঠান্ডা শরীরে অনুভূত হচ্ছে, ভোরের দিকেও রয়েছে হালকা ঠান্ডার চাদর। কিন্তু সূর্য ওঠার পর থেকেই যেন শীতের কোনো প্রভাব দেখা যাচ্ছে না বাংলায়। এদিকে বাংলা ক্যালেন্ডারের দিকে নজর দিলেও দেখা যাচ্ছে যে ফাল্গুন মাস এসে হাজির। অর্থাৎ, খাতায় কলমে এখন বসন্ত। যদিও কয়েকদিন আগেই বৃষ্টির মুখ দেখেছে বাংলা। উত্তরবঙ্গ থেকে দক্ষিণবঙ্গ অবধি বৃষ্টি হয়েছে টানা কয়েকদিন। তবে মেঘ কেটে যেতেই বসন্তের প্রভাব পরিলক্ষিত হচ্ছে রাজ্যের বুকে। তাই এখন কোকিলের সঙ্গে গলা মিলিয়ে, মন খুলে বলাই যায় যে বসন্ত এসে গেছে।

আর এই বসন্ত মানেই রঙের উৎসব দোল। বাঙালির দোলযাত্রা বাংলার বাইরে হোলি নামে পরিচিত। রঙে রাঙিয়ে দেওয়ার উৎসব এটি। কারন, এই সময়ে প্রকৃতিও নিজেকে রাঙিয়ে নেয় নানা রঙে। আর এই রঙের পরিবর্তনটা দেখা যায় যেখানে গাছের আধিক্য বেশি। এছাড়াও লালমাটির জেলা বাঁকুড়া, পুরুলিয়া ও বীরভূমে এই বসন্তের রং সবথেকে ভালোভাবে দেখা যায়। কারণ এইসব জেলায় এই বসন্তে ফোটে পলাশ ফুল। একইসঙ্গে গাছে গাছে কচি পাতার সমাগম-সব মিলিয়ে এক নয়নাভিরাম দৃশ্য।

এই কারণেই বসন্তে পুরুলিয়া ঘুরতে যাওয়ার পরিকল্পনা করেন অনেকেই। কারণ এই বসন্তে পুরুলিয়ার পলাশ ফাক ফোটার দৃশ্য কিন্তু রাজ্যের খুব কম জায়গাতেই দেখা যায়। এই কারণে, এই মার্চ থেকেই পুরুলিয়ায় বাড়ে পর্যটকদের সংখ্যা। যেহেতু গ্রীষ্মে পুরুলিয়ার তাপমাত্রা বেড়ে যায় ভয়ংকরভাবে, সেই কারণেই গরমের আগেই পুরুলিয়া যেতে চান অনেকেই। আর এবার আপনাদের পুরুলিয়ার বুকে অবস্থিত একটি অফবিট স্থানের সন্ধান দিতে চলেছি, যেখানে বসন্তে একবার গেলে সেই বসন্ত চির স্মরণীয় হয়ে থাকবে।

আমরা কথা বলছি কুহুবুরু স্থানের বিষয়ে। কলকাতা থেকে আসতে পূর্ব মেদিনীপুর পেরিয়ে ঝাড়গ্রাম হয়ে কুহুবুরু পৌঁছাতে পারবেন গাড়িতে। এই স্থানের আদিবাসী এলাকা পেরিয়ে এলেই পেয়ে যাবে পলাশবনি রিসোর্ট। এই রিসোর্টের পাশেই রয়েছে ঝর্ণা। যদিও বর্ষায় এই ঝর্ণায় জল দেখা যায়। তবে সামনেই রয়েছে শিবের মন্দির। সেখানে ঘুরে আসতে পারেন। এছাড়াও আশেপাশে পলাশের জঙ্গলে ফুলের সমাহার ও পাখিদের কলতান আপনাকে ঢেলে দেবে মুগ্ধতার অমৃত। কম খরচে দারুন অভিজ্ঞতা সঞ্চয় করতে পারবেন পুরুলিয়ার এই অফবিট লোকেশনে এলে।