প্রতিটি ভারতীয় নাগরিকের কাছে আধার কার্ড একটি গুরুত্বপূর্ণ নথি। শুধুমাত্র গুরুত্বপূর্ণ নয়, এটিকে অত্যাবশ্যকীয় নথি বললেও ভুল হবে না। কারণ নানা কাজে ব্যবহার করা হয় আধার কার্ড। তাই ভারতীয় নাগরিকদের কাছে আধার কার্ডের গুরুত্বও বাড়ছে দিন দিন। কারণ সরকারের তরফে অধিকাংশ জায়গায় পরিচয়পত্র হিসেবে আধার কার্ডকেই মান্যতা দেওয়া হয়। ব্যাঙ্কের একাউন্ট খোলা থেকে শুরু করে, সিম কার্ড কেনা, গাড়ি কেনা এমনকি হোটেলে রুম নিতেও আধার কার্ডের প্রয়োজন পড়ে। এছাড়াও ব্যবসা রেজিস্ট্রেশন করতেও এই নথির গুরুত্ব অপরিসীম।
আর এই গুরুত্বপূর্ণ আধার কার্ডের সঙ্গে নাগরিকদের আরো অন্যান্য নথিপত্র লিঙ্ক করার প্রক্রিয়া বিগত বেশ কয়েকবছর ধরেই চলছে দেশে। প্রথমে আধার কার্ডের সঙ্গে রেশন কার্ডের লিঙ্ক করার কথা ঘোষণা করা হয় সরকারের তরফে। তারপর আধার কার্ডের সঙ্গে প্যান কার্ডের লিঙ্ক করানোর প্রক্রিয়া শুরু হয়। এই কারণেই আধার কার্ড নিয়ে প্রায়ই চর্চা লেগেই থাকে। আর এবার আধার কার্ড বাতিল নিয়ে শোরগোল পড়ল গোটা রাজ্যে। তবে এবার এই অস্বস্তি থেকে মুক্তি পেতে চলেছে রাজ্যবাসী।
আধার কার্ড নিয়ে সম্প্রতি বিতর্ক বেড়েছে। আর এই বিতর্কের কারণ হল আধার কার্ড বাতিলের নোটিস পাঠানো নিয়ে। জানা গেছে, রাজ্যের অনেকেই UIDAI-এর তরফে এমন নোটিস পাচ্ছেন, যাতে উল্লেখ করা রয়েছে আধার কার্ড বাতিলের বিষয়ে। আর এই ঘটনা এবার ঘটতে শুরু করেছে রাজ্যের নানা জায়গায়। তবে ঘটনার সূত্রপাত হয়েছে পূর্ব বর্ধমানের জামালপুরে। এই এলাকার জৌগ্রাম, আজাপুর, আবুজহাটির প্রায় ৭০০ টি পরিবারের এক বা একাধিক সদস্যের কাছে আধার কার্ড বাতিলের নোটিস পেয়েছেন ইতিমধ্যে।
আর এই আধার কার্ড বাতিলের নোটিস আসার সঙ্গে তৈরি হয়েছে অনেক জল্পনা। যেহেতু আধার কার্ড ও রেশন কার্ড লিঙ্ক করা হয়েছে, তাই আধার বাতিল হলে যে রেশন বন্ধ হয়ে যাবে, তেমনটা অনেকেই মনে করছেন। আবার অনেকের মতে, আধার বাতিল হলে ব্যাঙ্কিং পরিষেবাও ব্যাহত হবে। তবে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এবার এসব রাজ্যবাসীকে আশ্বস্ত করে বলেছেন যে আধার বাতিল হলেও রেশনের সুবিধা জারি রাখবে রাজ্য সরকার। এছাড়াও সমবায় ব্যাঙ্কের মাধ্যমে এমন মানুষদের ব্যাঙ্কিং পরিষেবাও দেবে মমতা সরকার।