দেশীয় বাজারে আজকাল বাইকের চাহিদা তুঙ্গে। বাইক হল আজকাল মানুষের জীবনের যাতায়াতের অন্যতম মাধ্যম। তবে ক্রেতা অনুযায়ী বাইকের মডেল ও চাহিদাও ভিন্ন হয় বাজারে। যেভাবে মধ্যবিত্ত মানুষজন পছন্দ করেন বাজেট সেগমেন্ট বা মিড-রেঞ্জ বাইক, তেমনই আবার অনেক উচ্চবিত্ত ভারতীয় শখ পূরণের জন্য প্রিমিয়াম বাইকও কিনে থাকেন। তাই এদেশে প্রিমিয়াম বাইকের চাহিদাও বৃদ্ধি পাচ্ছে উত্তরোত্তর।
আর ভারতের প্রিমিয়াম বাইকের তালিকায় Royal Enfield-এর চাহিদা বা জনপ্রিয়তা বেড়েছে এক দশকে। এই বাইককে টেক্কা দিতে পারেনি কোনো কোম্পানিই। পাহাড়ি রাস্তায় বাইক সফর থেকে শুরু করে রাস্তা কাঁপানো শব্দে শহরের জনবহুল এলাকায় যাওয়া, এইসব শখ পূরণ করতে Royal Enfield হল অনেকের প্রথম পছন্দ। আর এই নির্মাতা সংস্থার ক্লাসিক ৩৫০ সিসি মডেলটি সবথেকে বেশি জনপ্রিয়। আর এবার এই মডেল কিনলেই মিলবে অতিরিক্ত সুবিধা। কারণ র্বার থেকেই এই বাইক চালানোর খরচ কমতে চলেছে। প্রতি লিটার জ্বালানিতে খরচ কমবে ৪০ টাকার মতো। কিভাবে সম্ভব হবে সেটি? জেনে নিন।
১ লা ফেব্রুয়ারি, ২০২৪ তারিখে দিল্লির প্রগতি ময়দানে যে ভারত মোবিলিটি গ্লোবাল এক্সপো ২০২৪-এর অনুষ্ঠান হয়, সেখানেই Royal Enfield Classic 350 ‘Flex Fuel’ বাইকটি লঞ্চ করা হয়। এই বাইকের বিশেষত্ব হল এটিই জর এই বাইকের ই জিন শুধুমাত্র পেট্রোলে চলে না। এই বাইকে জ্বালানি হিসেবে দিতে হবে ১৫ শতাংশ পেট্রোল এবং ৮৫ শতাংশ ইথানল। বর্তমানে বাজারে ইথানল পাওয়া যায় প্রতি লিটারে ৬৫ টাকার কিছু বেশি দামে। এটি মূলত আখ থেকে তৈরি হয়। সেই কারণে এই জ্বালানির দাম ভারতে কম। এর এই জ্বালানি যেহেতু এই বাইকে ব্যবহার করা যাবে, তাই বাইকটি চালাতে খরচ হবে কম।
এই নতুন ৩৫০ সিসির বাইকের লুকে তেমন কোনো পরিবর্তন আনেনি কোম্পানি। পুরানো রয়্যাল এনফিল্ড ক্লাসিকের মতোই অনেকটা দেখতে এই নতুন বাইক। লোগো রাখা হয়েছে আগের মতোই। এছাড়াও কোম্পানির আগের ক্লাসিক মডেলের মতোই ৩৫০ সিসির ইঞ্জিন রাখা হয়েছে রয়্যাল এনফিল্ডের এই মডেলে। তবে এই ইঞ্জিন ২০ এইচপি শক্তি এবং ২৭ এনএম পিক টর্ক উৎপন্ন করতে সক্ষম। এছাড়াও ফাইভ স্পিড গিয়ারবক্স রয়েছে এই বাইকে। এই বাইকেও পুরনো আভিজাত্য বজায় রাখতে স্পোক হুইলই রেখে দিয়েছে কোম্পানি।নতুন প্রজন্মের জন্য অ্যালোয় হুইল রাখা হয়নি। বাকি সব ফিচার্স মোটামুটি একইরকম রাখা হয়েছে এই বাইকে। ভারতে এই বাইকের এক্স শোরুম দাম রাখা হয়েছে ১.৯৩ থেকে ২.২৫ লক্ষ টাকা।