করোনাকালীন সময়ের পর থেকেই দেশে দেখা দিয়েছে চাকরির আকাল। গত কয়েকবছরে দেশের বেকারত্বের পরিমান বেড়েছে উল্লেখযোগ্য হারে। এর মাঝে চাকরি মিললেও সে অর্থে বেতন পাচ্ছেন না অনেকেই। বলা যায়, দৈনিক সর্বনিম্ন বেতনের থেকে কম পরিমানে বেতন পেয়ে চাকরি করছেন দেশের বহু যুবক-যুবতী। তাই এখন চাকরির পাশাপাশি দ্বিতীয় কোনো রোজগারের পথ খুঁজতে উদ্যোগী হচ্ছেন কমবেশি সকলেই। আর এক্ষেত্রে ছোটখাটো ব্যবসা বা চাষাবাদ করার কথা ভাবছেন অনেকেই।
এক্ষেত্রে যেমন অনেকেই সবজি ও বিভিন্ন ফল চাষের কথা ভাবেন, তেমনই কেউ আবার বিভিন্ন মশলাজাত দ্রব্যের চাষ করার কথা ভাবেন। কেউ কেউ আবার দামি ফল চাষের বিষয়ে চিন্তাভাবনা করেন। এদিকে কেউ কেউ ফুল চাষের মাধ্যমে জীবিকা নির্বাহ করার বিষয়ে অগ্রসর হন। তবে এসবের পাশাপাশি আরো অনেক উপায় রয়েছে, যার মাধ্যমে অল্প দক্ষতা ও ক্ষুদ্র বিনিয়োগ করে ভালো রোজগারের সুযোগ থাকছে। এই নিবন্ধে এমন তিনটি উপায়ের সন্ধান রইল, যা আপনাকে লাখপতি বানাতে পারে।
● ডেয়ারি ফার্ম: জনসংখ্যা বৃদ্ধির সঙ্গে পাল্লা দিয়ে দুধ ও দুগ্ধজাত খাবারের চাহিদা বাড়ছে। এমতাবস্থায় অনেকেই গোয়ালার দুধে হাইজিন সংক্রান্ত নানা বিষয়ের জন্য এটিকে এড়িয়ে চলেন। তবে এই দুধকে বা দুগ্ধজাত খাবার বানিয়ে সেটিকে প্যাকেটজাত করে বাজারে আনতে পারলেই লাভের সম্ভাবনা রয়েছে। এক্ষেত্রে একটি ডেয়ারি ফার্ম সেটআপ করতে হবে। তারপর বিক্রয়স্থল খুঁজে প্রোডাক্টকে বিক্রি করতে হবে। কয়েকলক্ষ টাকার বিনিয়োগে দারুন লাভের সুযোগ থাকছে এই ব্যবসায়।
● পোল্ট্রি ফার্ম: দুধের পাশাপাশি এখন ডিম বা মাংসের চাহিদা বিপুল। এই পরিস্থিতিতে আপনার বাড়ির পাশে ফাঁকা জায়গা থাকলে সেখানে একটি পোল্ট্রি ফার্ম তৈরি করতে পারেন। এক্ষেত্রে ডিম বা মাংসের মধ্যে যেকোনো একটি বা দুটিই উৎপাদন করতে পারেন। কয়েক লাখ টাকার বিনিয়োগ প্রয়োজন হবে এতে। এই ফার্ম আপনি নিজেও চালাতে পারেন, আবার কোনো কোম্পানির ফ্র্যাঞ্চাইজি নিয়েও করতে পারেন। দুভাবেই লাখ লাখ টাকা রোজগারের সুযোগ থাকছে।
● আটা কল: গ্রামের দিকে বা মফঃস্বল রলাকে আপনার বাড়ি হলে সেখানে আপনি খুলতে পারেন আটা কল। এখনো অনেকেই প্যাকেটজাত আটা কিনতে পছন্দ করেন না। সেই কারণেই গম নিয়ে তা দিয়ে আটা তৈরি করাতে পছন্দ করেন। এক্ষেত্রে আপনি আটা কল খুলতে পারলে সেখানে ভালো লাভ করার সুযোগ থাকছে।