কর্মজীবনের পর বয়স বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে মানুষের শরীরেও আসে বার্ধক্যজনিত ক্লান্তির ছাপ। সেই সময় কাজের বিষয়ে আর সক্রিয়তা থাকেনা। এই বয়সটিকে অনেকেই অবসর জীবন বলে থাকেন। এই অবসর জীবনে এসে সিংহভাগ মানুষের উপার্জন প্রায় বন্ধ হয়ে যায়। তখন ছেলে বা মেয়ের উপর নির্ভরশীল হওয়া ছাড়া আর উপায় থাকে না। কারণ তখনো তো আর খরচ থেমে থাকে না। তবে সেটি যাতে না হতে হয়, সেজন্যই রয়েছে পেনশন ব্যবস্থা।
বিগত দশক অবধি দেশের সরকারি কর্মচারীদের অবসর গ্রহণের পর পেনশন দেওয়া হত। বিভিন্ন বেসরকারি ক্ষেত্রেও বিষয়টি চালু ছিল। এর মাধ্যমে অবসরকালীন জীবনে মাসিক ভাতা পাওয়া যায়। তবে এমন অনেকেই আছেন যারা এইসব স্থানে স্থায়ীভাবে কর্মরত নন। তাহলে তাদের বয়স বাড়ার সঙ্গে উপার্জনের একটা চিন্তা থেকেই থাকে। তবে তাদের জন্যও রয়েছে বিভিন্ন পেনশন স্কিম বা পেনশন পলিসি। তবে শুধুমাত্র পেনশন নয়, বৃদ্ধ বয়সে চিকিৎসা নিয়েও চিন্তায় থাকতে হয়। কারণ বয়স বাড়লে রোগের প্রভাব বাড়ে শরীরে। আর চিকিৎসা এখন ব্যাপক ব্যয়বহুল।
এবার যারা সরকারি চাকরি করতেন কিংবা এমন কিছু বেসরকারি সংস্থায় কাজ করতেন যেখানে স্বাস্থ্য বীমা উপলব্ধ রয়েছে, সেইসব সংস্থা থেকে অবসরকালীন সময়ে এই সুবিধা পাওয়া যায়। তবে সম্প্রতি, এই বিষয়ে একটি গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত নিয়েছে এমপ্লয়িজ স্টেট ইনসিওরেন্স কর্পোরেশন বা ESIC। কারণ এই সরকারি সংস্থা সিদ্ধান্ত নিয়েছে যাতে অবসরপ্রাপ্ত কর্মীরাও চিকিৎসার সুবিধা পেয়ে থাকেন। এই মর্মে সম্প্রতি কেন্দ্রীয় মন্ত্রী ভূপেন্দ্র যাদবের বৈঠক করে ESIC। আর এই বৈঠকে নেওয়া হল এই সিদ্ধান্ত।
জানা গেছে, এবার থেকে যেসব অবসরপ্রাপ্ত কর্মচারী ২০১২ সালের ১ এপ্রিলের পর থেকে অন্তত ৫ বছর চিকিৎসা বীমার সুবিধা পেতেন, এবং যারা ১ এপ্রিল ২০১৫ বা তার পরে অবসর নিয়েছেন, তারা এই আওতায় চিকিৎসা বীমার সুবিধা পাবেন। উল্লেখ্য, এই চিকিৎসা বীমা পাবেন সড়ক পরিবহন, হোটেল, রেস্তোঁরা, সিনেমা, সংবাদপত্র, দোকান এবং শিক্ষামূলক বা চিকিৎসা প্রতিষ্ঠানের কর্মীরা। তবে যেসব সংস্থায় ১০ জনের বেশি কর্মচারী রয়েছেন, শুধুমাত্র তারাই এই সুবিধা পাবেন।