বাংলার বুকে এখন এক জায়গা থেকে অন্য জায়গায় পৌঁছানোর মাধ্যম কিন্তু একাধিক রয়েছে। শহরাঞ্চলে রয়েছে ট্রেন পরিষেবা। এছাড়াও শহর ও মফঃস্বল এলাকায় রয়েছে সরকারি ও বেসরকারি বাস পরিষেবা। এছাড়াও ট্যাক্সি পরিষেবা ব্যক্তিগতভাবে দ্রুত গন্তব্যে পৌছনোর জন্য একটি ভালো বিকল্প। তবে এতে খরচ বেশি। তবে এই খরচের সমস্যার সমাধানের পথ খুঁজে দিয়েছে কিছু মোটর বাইক সংস্থা। কম খরচে বাইক বুক করে দ্রুত পৌঁছানো যায় নির্দিষ্ট গন্তব্যে। এককথায় এখন রাজ্যের বুকে কোটি কোটি গাড়ি চলে।
আর এবার রাজ্যের বুকে গাড়ি চলাচল নিয়ে বড় সিদ্ধান্ত নিয়েছে রাজ্যের পরিবহন দফতর। সরকারের এই সিদ্ধান্তে ব্যাপক সুবিধা পেতে চলেছেন রাজ্যের কোটি কোটি গাড়ি মালিক। মাসখানেক আগেই রাজ্যের পরিবহনমন্ত্রী স্নেহাশিস চক্রবর্তী এই বিষয়ে একটি বড় ঘোষণা করেছিলেন। তিনি জানিয়েছিলেন যে এবার থেকে যেসব গাড়ি মালিকরা গাড়ির কর জমা দিতে পারেননি বা দেননি এবং তার উপর যে জরিমানা ধার্য করা হয়েছে তাও জমা করেননি, তারা জানুয়ারি ও ফেব্রুয়ারি মাসে বিরাট সুবিধা পাবেন। এরকম প্রায় সাড়ে ১২ লক্ষ গাড়ির ক্ষেত্রে আমরা বকেয়া ট্যাক্স বাকি রয়েছে বলে জানান মন্ত্রী।
তবে এবার থেকে মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশ অনুসারে বকেয়া থাকা সেসব জরিমানা মুকুব করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে রাজ্যের পরিবহন দফতর। জানা গেছে, এবার থেকে শুধুমাত্র গাড়ির কর জমা দিলে তাদের জরিমানা মুকুব করে দেওয়া হবে। তবে এই কর জমা করার একটি নির্দিষ্ট সময়সীমা বেঁধে দিয়েছিল সরকার। ১লা জানুয়ারি, ২০২৪ থেকে ২৯ ফেব্রুয়ারি, ২০২৪ পর্যন্ত এই ৬০ দিনের সময়কালে কর জমা দিলেই জরিমানার উপর ১০০ শতাংশ ছাড় পাবেন গাড়ি মালিকরা, এমনটাই ঘোষণা হয়েছিল। আর তাতেই ইতিবাচক সাড়া মিলেছিল গাড়ি মালিকদের তরফে।
তবে এই সুবিধা এখানেই শেষ নয়। একসঙ্গে একাধিক বছরের পরিবহন কর জমা করা হলে করে উপরেও ছাড় পেতে চলেছেন গাড়ি মালিকরা। বাণিজ্যিক ও ব্যক্তিগত উভয় গাড়ির ক্ষেত্রেই এই ছাড়ের ঘোষণা করা হয়েছে। মন্ত্রীর ঘোষণা মোতাবেক, বাণিজ্যিক গাড়ির মালিকরা ১০ বছরের কর একসঙ্গে জমা দিলে ৪০ শতাংশ, ৫ বছরের কর জমা দিলে ৩০ শতাংশ এবং ৩ বছরের কর একসঙ্গে জমা দিলে ১৫ শতাংশ ছাড় পাবেন। এদিকে ব্যক্তিগত গাড়ির ক্ষেত্রে একসঙ্গে ১০ বছরের কর জমা করলে ভালোরকম ছাড় পাবেন গাড়ি মালিকরা।