চলতি দশকে মানুষ দিন দিন মোবাইল ও ইন্টারনেটের উপর আসক্ত হয়ে পড়ছে। আসক্ত বললে ভুল হবে, মানুষের অভ্যাসে এখন জায়গা করে নিয়েছে স্মার্টফোন। একের পর এক জেনারেশন এগিয়ে যাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে টেলিকম কোম্পানিগুলি নিজেদের নিত্যনতুন পরিকল্পনা চালু করেছে। সম্প্রতি কয়েকমাস আগেই সারাদেশে চালু হয়েছে 5G পরিষেবা। টেলিকম পরিষেবার পঞ্চম জেনারেশনে ইন্টারনেট হয়েছে আরো বেশি দ্রুতগতির। আর সেই দ্রুততার সঙ্গে টক্কর দিতে লেগে পড়েছে মানুষ।
এখন প্রায় সব মোবাইল নির্মাতা কোম্পানিগুলি 5G কানেক্টিভিটি যুক্ত মোবাইল লঞ্চ করার দিকে বেশি নজর রাখছে। কারণ দিন দিন যেভাবে এই পঞ্চম জেনারেশনের ইন্টারনেট ব্যবহারের চাহিদা বাড়ছে, তাতে করে এখন বাজারে তুলনামূলক কম 5G মোবাইল উপলব্ধ রয়েছে। সেই সঙ্গে এখন নির্মাতা কোম্পানিগি প্রিমিয়াম সেগমেন্টে ফোল্ডিং মোবাইল লঞ্চের দিকে জোর দিচ্ছে। আর এবার বাজারে এল Vivo-র এমনই একটি ফোল্ডিং মোবাইল, যা স্যামসাংয়ের ফোল্ড সিরিজকে জোর টেক্কা দেবে। কথা বলছি Vivo X Fold-3 মোবাইলকে নিয়ে।
এই মোবাইলে মিলবে অত্যাধুনিক কিছু ফিচার্স। মোবাইলের ডিসপ্লে হিসেবে মিলবে আপগ্রেডেড স্ক্রিন রেজোলিউশন, যা 2K রেজোলিউশন সাপোর্টেড হতে পারে। এছাড়াও ক্যামেরা হিসেবে এই মোবাইলে মিলবে ৫০ মেগাপিক্সেলের OIS লেন্স, যা অপটিক্যাল ইমেজ স্ট্যাবিলাইজেশন ও ওভি-৫০-এইচ ফিচার্স সম্বলিত হবে। এছাড়াও ভালো কোয়ালিটির আল্ট্রা-ওয়াইড লেন্স এবং ৬৪ মেগাপিক্সেলের এলইডি পেরিস্কোপ টেলিফোটো লেন্স থাকতে পারে এই মোবাইলে।
এখনো কোম্পানির তরফে এই মোবাইলের কোনো স্পেসিফিকেশন ঘোষণা করা হয়নি। তবে অনেক সংস্থার দাবি অনুসারে, এই মোবাইলে আল্ট্রাসনিক ফিঙ্গারপ্রিন্ট সেন্সর এবং ৫০ ওয়াট ওয়্যারলেস চার্জিং সাপোর্ট করবে বলে মনে করা হচ্ছে। এছাড়াও এই মোবাইলে কোয়ালকম স্ন্যাপড্রাগন এইট জেন থ্রি চিপসেট দেওয়া হতে পারে। এছাড়াও এই মোবাইলে থাকতে পারে ৫৭০০ এমএএইচ-এর বড় ব্যাটারি এবং ১০০ ওয়াট ওয়্যার্ড চার্জিং সাপোর্ট। তবে এই মোবাইলের দাম এখনো আন্দাজ করা যায়নি।