ভারতীয় অটোমোবাইল মার্কেটে দিন দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে ইলেকট্রিক গাড়ির চাহিদা। পেট্রোল ও ডিজেলের দাম হেজেতু বাগে আসছে না, তাই পরিবহনের সুবিধা বাড়াতে ও খরচ কমাতে সকলেই এখন ই-ভেহিকেলের দিকে হাত বাড়াচ্ছেন। বলা বাহুল্য, দু’চাকা থেকে চার’চাকা, সবেতেই ইলেকট্রিক গাড়ির চাহিদা তুঙ্গে। আর এই বাজারে বেশ ভালো নামডাক হয়েছে ওলা, হিরো, ইয়ামহা সহ বেশ কয়েকটি কোম্পানির। তবে এবার নস্টালজিয়া উস্কে বাজারে প্রথম ই-মপেড নিয়ে এলো নির্মাতা সংস্থা কাইনেটিক। সম্প্রতি ই-লুনা নামের এই মপেড এসেছে দেশীয় বাজারে। আর এই দুচাকা যানকে নিয়ে বড় লক্ষ্য রেখেছে কোম্পানি।
একসময় বিপুল জনপ্রিয়তা পেয়েছিল কাইনেটিক গাড়িটি। এটি মূলত পেট্রোল ইঞ্জিন চালিত ছিল। তবে এবার ই-ভেহিকেল বানিয়ে সব কোম্পানিকে চমকে দিয়েছে কাইনেটিক। কাইনেটিক ই-লুনা নামের তাদের প্রথম ইলেকট্রিক দুচাকা গাড়ি এল ভারতের বাজারে। এই গাড়িতে আপনি পেয়ে যাবেন ২ কিলোওয়াট আওয়ারের ব্যাটারি প্যাক এবং ১.২ কিলোওয়াট ক্ষমতা সম্পন্ন মোটর। এই মোটর সর্বোচ্চ 22 এনএম টর্ক উৎপন্ন করতে পারে। কোম্পানির দাবি, ফুল চার্জে এই গাড়ির রেঞ্জ হবে ১০০ কিলোমিটার। এছাড়াও এই গাড়ি সর্বোচ্চ ৫০ কিমি প্রতি ঘণ্টা গতিতে দৌড়তে পারে। আর এটি ফুল চার্জ হতে সময় নেয় ৪ ঘণ্টা। স্কুটারের পেলোড ক্যাপাসিটি রয়েছে ১৫০ কেজি।
এই গাড়িতে রয়েছে একাধিক অত্যাধুনিক ফিচার্স। এই গাড়ির সঙ্গে মিলবে ডিজিটাল ইনস্ট্রুমেন্ট ক্লাস্টার, লিভার লক, ডিট্যাচেবেল রিয়ার সিট, ১৬ ইঞ্চি স্পোক হুইল এবং ইউএসবি চার্জিং পয়েন্ট।রঙের ক্ষেত্রে এই মপেডের বিকল্প রয়েছে একাধিক। গাড়িটি যায়নি লাল, হলুদ, কালো, নীল এবং সবুজ রঙে বাজারে কিনতে পারবেন। এই গাড়ির দাম রয়েছে মধ্যবিত্তদের সাধ্যের মধ্যেই। বর্তমানে কাইনেটিক ই-লুনা’র এক্স-শোরুম দাম রয়েছে ৬৯,৯৯০ টাকা। অর্থাৎ অন্যান্য ইলেকট্রিক স্কুটারের থেকে অনেকটাই সস্তায় মিলবে এই গাড়ি। ছোট দূরত্ব যেতে বা বাণিজ্যিক ব্যবহারের ক্ষেত্রে একটি দারুন বিকল্প হতে পারে এই ই-ভেহিকেল।
গাড়িটির ডেলিভারি এখনো শুরু হয়নি। তবে গত ২৬ শে জানুয়ারি থেকে এর বুকিং শুরু হয়ে গিয়েছে। মাত্র ৫০০ টাকার বিনিময়ে এই বুকিং করা যাচ্ছে কোম্পানির অফিসিয়াল ওয়েবসাইট থেকে। সংস্থার দাবি অনুযায়ী, এখনও অবধি এই স্কুটারের জন্য ৪০ হাজারের বেশি বুকিং জমা পড়েছে। আগামী দিনে এই গাড়িকে দেশীয় বাজারে আরো জনপ্রিয় করে তোলা হবে বলে জানিয়েছে নির্মাতা সংস্থা। সংস্থার এক আধিকারিক এই বিষয়ে বলেন, “পরবর্তী আর্থিক বছরের মধ্যে আমরা ই-লুনা-র এক লাখ মডেল বিক্রি করার পরিকল্পনা করছি। কারণ লক্ষ্য পরের বছরের মধ্যে টার্নওভারের অঙ্ক ১,২০০ কোটিতে পৌঁছানোর লক্ষ্যমাত্রা রাখছি আমরা”।