জানুয়ারির শেষদিকে রাজ্য থেকে বিদায় নিয়েছিল শীত। তবে ফেব্রুয়ারির কয়েকদিন যেতে না যেতেই আবার জাঁকিয়ে শীতের আভাষ মিলছে রাজ্যজুড়ে। কারণ হাওয়া অফিসের পূর্বাভাস মোতাবেক আগামী কয়েকদিন রাজ্যে কোনো ঘূর্ণাবর্ত বা নিম্নচাপের প্রভাব পড়বে না। সেই কারণে দক্ষিণবঙ্গের আবহাওয়া শুষ্ক থাকবে আগামী এক সপ্তাহ। একইসঙ্গে রাজ্যে শেষবারের মলত উত্তুরে হাওয়া প্রবেশ করবে বলে জানাচ্ছে হাওয়া অফিস।এর ফলে পারদের পতন দিন দিন বাড়বে রাজ্যের বুকে। আর পারদের পতনের সঙ্গে কনকনে ঠান্ডায় জুবুথুবু হবে গোটা দক্ষিণবঙ্গ।
আর এই শীতকালের শুরু বা শেষের সময় আসন্ন মানেই নানা রোগের প্রাদুর্ভাব। বিশেষ করে যাদের কোল্ড এলার্জির সমস্যা রয়েছে, তাদের ক্ষেত্রে তো শীতকাল পর করা এডভেঞ্চারের থেকে কিছু অংশে কম নয়। এছাড়াও শীতে বাড়ে বাতের ব্যাথা। একইসঙ্গে আরো নানা শারীরিক সমস্যা বৃদ্ধি পায় এই শীতকালে। তবে শীতকালে সবথেকে বেশি ভোগে শিশুরা। ঠান্ডা লেগে যাওয়ার সমস্যা কমবেশি সব শিশুর মধ্যেই দেখা যায়। তবে শিশুর স্নানের ফিকে নজর দিলে এই সমস্যাকে দূরে রাখা যায়। একনজরে দেখে নিন শিশুকে স্নান করার সময় কোন কোন বিষয়গুলো মাথায় রাখতে হবে।
● সপ্তাহে কতদিন স্নান করাবেন: শীতের শুরুতে বা শেষে শিশুদের মকধ্যে ঠান্ডা লাগার বিষয়টি বেশি দেখা যায়। সেই কারণেই এই সময়ে প্রতিদিন শিশুকে স্নান না করানোই ভালো। শিশু বিশেষজ্ঞদের মতে, শিশুদের এই সময় ঠান্ডা লাগা থেকে রক্ষা করতে সপ্তাহে ৩ থেকে ৪ দিনের বেশি স্নান করানো উচিত নয়। এতে শিশুর শরীরে ঠান্ডা লাগবে না।
● স্নানের জলের তাপমাত্রা: শিশুকে স্নান করানোর আগে স্নানের জলের তাপমাত্রার দিকে নজর রাখুন। এক্কেবারে ঠান্ডা জলে স্নান করানো যেমন চলবে না, তেমনই গরম জলে স্নান করানোও হানিকারক। তাই সবথেকে ভালো শিশুর স্নানের জলে দু’টি তুলসী পাতা ফেলে একঘন্টা রোদে রেখে দিন। সেই জলে স্নান করালে ঠান্ডা লাগবে না।
● স্নানের পর শরীর মোছানো: শুধু স্নান করানো নয়, স্নানের পর শিশুর শরীর ভালোভাবে মোছানোটিও জরুরি একটি কাজ। তাই স্নানের পর নরম সুতির শুকনো কাপড় দিয়ে ভালোভাবে শিশুর শরীরের জলকণা মুছে দিন। এতে ঠান্ডা লাগার সমস্যা কমবে।
● সঠিক প্রসাধনী নির্বাচন: স্নানের সময় শিশুর সাবান, শ্যাম্পু ও তেলের মতো বিভিন্ন প্রসাধনী দরকার পড়ে। তবে কখনোই শিশুকে ঠান্ডা সাবান বা তেল দেবেন না। একইসঙ্গে উগ্র গন্ধযুক্ত কোনো প্রসাধনী ব্যবহার করাও উচিত নয়। এতে ঠান্ডা লাগার সমস্যা বেড়ে যেতে পারে।
Disclaimer: প্রতিবেদনটি তথ্যভিত্তিক। শিশুর যেকোনো শারীরিক সমস্যায় আগে ডাক্তারের পরামর্শ নিন।