বিগত সময়ের দীর্ঘ লকডাউনে গোটা বিশ্বে বেড়েছে বেকারত্ব। অনেকেই এই সময়ে কাজ হারিয়েছেন।কারো আবার চাকরি হয়েও হয়নি সেই সময়। সেইসব কারণেই শিক্ষিত যুব সমাজের বেশিরভাগই আজ কর্মহীন। কাজের খোঁজে হন্যে হয়ে ঘুরে বেড়াচ্ছেন কেউ কেউ। কেউ আবার সরকারি চাকরির আশায় দিন গুনছেন। আর এই অবস্থায় দেশের অর্থনীতির সঙ্গে অনেকেরই চাকরি করার আশা ফুরিয়ে আসছে। হতাশ হচ্ছেন শিক্ষিত সমাজ, যারা এখনো কর্মহীন। ফলস্বরূপ বেকারত্ব বাড়ছে দিনের পর দিন।
তবে এই পরিস্থিতিতে এই শিক্ষিত বেকার যুবক ও যুবতীদের জন্য দারুন সুযোগ দিতে চলেছে পশ্চিমবঙ্গের রাজ্য সরকার। এবার মহিলাদের জন্য দারুন সুখবর এনেছে রাজ্য সরকার। রাজ্যের মধ্যে যেসব মহিলারা চাকরির আশায় বসে রয়েছেন, তাদের জন্য এই ঘোষণা একটি দুর্দান্ত সুযোগ হিসেবে আত্মপ্রকাশ করতে পারে। কারন রাজ্য সরকারের তরফে এবার ঘোষণা হয়ে গেল নিয়োগের বিষয়ে। আর এবার মহিলাদের নিয়োগ করবে মমতা সরকার। অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রে এই নিয়োগ হবে বলে খবর মিলেছে সূত্র মারফত।
জানা গেছে, শীঘ্রই রাজ্যের অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রগুলিতে নিয়োগ করবে রাজ্য। এই বিষয়ে কেন্দ্রের সঙ্গে রাজ্যের মতভেদের কারণে যে জটিলতা তৈরি হয়েছিল, তা কেটে গেছে হলেই জানা গেছে। রাজ্যের মন্ত্রী শশী পাঞ্জা রি বিষয়ে বিধানসভায় তিনি জানান, রাজ্যে মোট ১ লক্ষ ১৯ হাজার ৪৮১ টি অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্র আছে। এগুলির মাধ্যমে বর্তমানে ২১ হাজার ৪৯২ কর্মী এবং ১৩ হাজার ৯০৬ টি সহায়িকা পদ শূন্য আছে। আর সেগুলিকে শীঘ্রই নিয়োগ করতে চলেছে রাজ্য। এই ইঙ্গিত দিয়েছেন রাজ্যের মন্ত্রী।
প্রসঙ্গত, অঙ্গনওয়াড়ি কর্মীদের বর্তমান বেতন ৮,৩৫০ টাকা। অন্যদিকে অঙ্গনওয়াড়ি সহায়িকা পদে কর্মরত মহিলারা মাসে ৬,৩০০ টাকা বেতন পান। আর এইসব পদে প্রার্থীদের বয়স ও শিক্ষাগত যোগ্যতা নিয়ে কেন্দ্রের সঙ্গে রাজ্যের মতভেদ দেখা যায়। মোদি সরকার এইসব পদের জন্য নূন্যতম মাধ্যমিক পাশ যোগ্যতা বেঁধে দেয়। একইসঙ্গে আবেদনের বয়স ৩৫ বছর করে। অন্যদিকে রাজ্যে এইসব পদে নিয়োগ হয় অষ্টম পাশ যোগ্যতায়। এছাড়াও রাজ্যের বয়সসীমা ৪৫ বছর। তবে এই জটিলতা কেটে গিয়েছে বলেই জানা গেছে।