একবিংশ শতাব্দী দিন দিন ডিজিটাল যুগ হয়ে উঠছে। এককথায় এই ডিজিটাল যুগ হল স্মার্ট গ্যাজেটের যুগ। আর সব গ্যাজেটের মধ্যে স্মার্টফোন বর্তমানে সর্বাধিক জনপ্রিয়। সেই কারণেই স্মার্টফোন আজকাল সকলের হাতেই থাকে। আট থেকে আশি, এই একটি গ্যাজেট ছাড়া যেন সবাই অচল। সে সোশ্যাল মিডিয়ায় সক্রিয় থাকাই হোক বা ক্যামেরা দিয়ে ছবি-ভিডিও তোলা কিংবা গান শোনা অথবা সিনেমা দেখা- স্মার্টফোন আমাদের কমবেশি সব কাজেই অত্যন্ত দরকারি একটি জিনিস। বলা যায়, জীবনের এক অঙ্গ হয়ে দাঁড়িয়েছে এই স্মার্টফোন।
তবে এই স্মার্টফোন দিন দিন আপগ্রেড হয়ে যাচ্ছে একটু একটু করে। ক্যামেরা থেকে প্রসেসর, স্টোরেজ এমনকি ডিজাইনেও বদল ঘটছে প্রতিদিন। কয়েকবছর আগেকার স্মার্টফোন আজকাল বেশ পুরানো। এককথায় অচল। তাই ওয়ার্কিং কন্ডিশনে থাকলেও অনেক পুরনো স্মার্টফোন আর ব্যবহারের যোগ্য থাকেনা। সেই কারণেই প্রতি বছর হোক বা একবছর অন্তর হোক আমাদের স্মার্টফোন কিনতেই হয়। কিন্তু স্মার্টফোনের বাড়তে থাকে দামে বছর বছর স্মার্টফোন কেনা দুঃসাধ্য হয়ে দাঁড়াচ্ছে মধ্যবিত্তদের কাছে।
তবে এবার মধ্যবিত্তদের এই সমস্যার সমাধান করবে মোদি সরকারের একটি বিরাট সিদ্ধান্ত। আশা করা হচ্ছে, আগামী সময়ে হু-হু করে কমে যাবে স্মার্টফোনের দাম। কিন্তু সরকার কি এমন সিদ্ধান্ত নিয়েছে, যার ফলে মোবাইলের দাম কমবে? এই বিষয়ে জেনে রাখা উচিত যে কেন্দ্রীয় অন্তর্বর্তীকালীন বাজেট সংসদ ভবনে পেশ হওয়ার আগেই এই বিষয়ে একটি সিদ্ধান্ত নিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। স্মার্টফোনের বিভিন্ন সামগ্রীর ক্ষেত্রে আমদানি শুল্ক কমানোর সিধান্ত নরম হয়েছে কেন্দ্র সরকারের তরফে। আর সেই কারণেই দেশে এবার মোবাইলের দাম কমে যাবে বলে আশা করা হচ্ছে।
উল্লেখ্য, ভারত এখনো এমন এক দেশ যাকে বিভিন্ন যন্ত্রাংশ আমদানি করতে হয় বিদেশ থেকে। এর মধ্যে ব্যাটারি কভার, প্লাস্টিক ও মেটাল বেশি করে এমদাবী করতে হয়। এগুলির জন্য ভারতে আমদানি শুল্ক চীন বা ভিয়েতনাম বা মেক্সিকো বা থাইল্যান্ডের থেকে বেশি। সেই কারণে ভারতের বাজারে স্মার্টফোনের দাম অন্যান্য দেশের তুলনায় বেশি। এতদিন পর্যন্ত এইসব জিনিস আমদানির ক্ষেত্রে ১৫ শতাংশ শুল্ক দিতে হত। তবে কেন্দ্র এই শুল্ক ৫ শতাংশ কমিয়ে দিয়েছে। অর্থাৎ এর প্রভাবে মাত্র ১০ শতাংশ শুল্ক দিয়েই এসব আমদানি করতে হবে। এর ফলে দাম কমবে স্মার্টফোনের।