মশার সাথে পরিচয় ঘটেনি এমন মানুষ নেই বললেই চলে। কারণ মশার কামড় কমবেশি সকলেই খেয়ে থাকেন দিন প্রতিদিন। বাড়ি হোক বা মাঠঘাট, অফিস হোক বা চায়ের দোকান- মশার এন্ট্রি সব জায়গাতেই মোটামুটি ‘ফ্রি অফ কস্ট’। অনেক বাড়িতে মশার উপদ্রব তীব্র হয়ে থাকে। তাই এই সময় মশাবাহিত নানা রোগের প্রকোপ বাড়ে। মশা মূলত তিন ধরনের হয় – অ্যানাফ্লেক্স মশা, কিউলেস্ক মশা এবং এডিস মশা। এর যথাক্রমে ম্যালেরিয়া, ফাইলেরিয়া ও ডেঙ্গুর জন্য দায়ী। তাই বাড়ি থেকে মশা তাড়ানোর নানা উপায় খুঁজছেন অনেকেই।
বাড়িতে শিশু থাকলে মশা তাড়ানোর দিকটি বিশেষভাবে খেয়াল রাখা উচিত। কারণ মশার কামড়ে সবথেকে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয় শিশুরা। যেহেতু শরীরে মশা বসলে তা তাড়াতে পারে না শিশুরা, তাই মশার কামড় থেকে তাদের ক্ষতির সম্ভাবনা বেশি থাকে। মশা তাড়ানোর জন্য নানারকম উপায় বাজারে উপলব্ধ থাকলেও তা থেকে আরো নানা সমস্যার সৃষ্টি হয়। কারণ মশার ধুপ বা লিকুইড থেকে তৈরি ধোঁয়া ফুসফুসের ক্ষতি করে। তাহলে মশার হাত থেকে কিভাবে বাঁচাবেন আপনার শিশুকে? জেনে নিন কয়েকটি উপায়।
● মশারি ব্যবহার: শিশুদের সবসময় মশারির ভেতর রাখা উচিত। কারণ মশা এই মশারি ভেদ করতে পারে না। আর বাড়ির ভেতরে সবসময় খেয়াল রাখাটাও সহজ কাজ নয়। তাই বিশেষ করে শিশুকে ঘুম পড়ানোর সময় মশারি করে নেওয়া জরুরি। বিশেষ করে রাতে শিশুকে মশারির নীচে রাখা আবশ্যক। এতে অনেক রোগ দূরে থাকবে।
● সুরক্ষিত পোশাক পরানো: শিশুদের হাফস্লিভ জামা বা টিশার্ট কিংবা স্যান্ডো গেঞ্জি বা ছোট প্যান্ট পরিয়ে রাখা উচিত নয়। কারণ ত্বক ফাঁকা থাকলে সেখানে মশা আগে বসে এবং কামড় দেয়। তাই সবসময় শিশুকে হাটভর্তি পোশাক পরিয়ে রাখা উচিত। তবে দেখতে হবে সেই পোশাক যেন নরম হয়।
● সুগন্ধি দ্রব্য বর্জন: শিশুকে সুগন্ধি তেল বা লোশন মাখানো উচিত নয়। কারণ এইসব সুগন্ধির দ্বারা মশা আকৃষ্ট হয়। সেই কারণে শিশুকে এইসব সুগন্ধি দ্রব্যের থেকে দূরে রাখা উচিত। এতে মশাও থাকবে দূরে।
● মশা তাড়ানোর ক্রিম ব্যাবহার: বাড়ির মধ্যে অত্যধিক পরিমানে মশা থাকলে তখন শিশুকে মশা তাড়ানোর তেল বা ক্রিম বা লোশন মাখানো উচিত। তবে এইসব দ্রব্য ব্যবহারের আগে দেখে নিতে হবে যে সেটি কোনো রাসায়নিক থেকে তৈরি কিনা। কারণ শিশুর ক্ষেত্রে সর্বদা ভেষজ উপাদানই ব্যবহার করা শ্রেয়।
Disclaimer: প্রতিবেদনটি শুধুমাত্র সাবধান করার উদ্দেশ্যে লেখা হয়েছে। শিশুর যেকোনো শারীরিক সমস্যায় আগে ডাক্তারের পরামর্শ নেওয়া উচিত।