প্রথম পাতা রাজ্য দেশ আন্তর্জাতিক শিক্ষা রাজনীতি লাইফস্টাইল

DA: সুপ্রিম কোর্টে বড় ধাক্কা ডিএ আন্দোলনকারীদের, দেড় মাস পিছিয়ে গেল মামলার শুনানির তারিখ

বিগত কয়েকবছর ধরেই ডিএ বাড়ানোর দাবিতে আন্দোলন করছেন রাজ্য সরকারি কর্মীরা। এর মাঝে এই মামলা দায়ের হয় কলকাতা হাইকোর্টে। সেই মামলায় ২০২২ সালের ২০ মে রাজ্যের সরকারি কর্মচারীদের ৩১ শতাংশ…

Published By: Debaprasad Mukherjee | Published On:

বিগত কয়েকবছর ধরেই ডিএ বাড়ানোর দাবিতে আন্দোলন করছেন রাজ্য সরকারি কর্মীরা। এর মাঝে এই মামলা দায়ের হয় কলকাতা হাইকোর্টে। সেই মামলায় ২০২২ সালের ২০ মে রাজ্যের সরকারি কর্মচারীদের ৩১ শতাংশ হারে ডিএ দেওয়ার নির্দেশ দেয় কলকাতা হাই কোর্ট। সেই নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ করে সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হয় রাজ্য সরকার। এর মাঝে আবার হাইকোর্টের নির্দেশ অমান্য করার নবান্নের বিরুদ্ধে আলাদা একটি মামলা দায়ের হয় হাইকোর্টে।

এদিকে বকেয়া DA-র দাবিতে সরকারি কর্মীদের আন্দোলন হয়েছে দীর্ঘদিন ধরে। এমনকি কেন্দ্রীয় সরকারের প্রদত্ত মহার্ঘভাতার হারে রাজ্য সরকারি কর্মীদের DA বৃদ্ধির দাবিতে দীর্ঘদিন লড়ছে রাজ্য সরকারি কর্মচারীদের তিনটি সংগঠন। এই সংক্রান্ত মামলাও হয়েছে সরকারের বিরুদ্ধে। এর আগে SAT এবং কলকাতা হাইকোর্টের রায় গিয়েছিল কর্মচারীদের দিকে। এবার এই মামলার ঠাঁই হয়েছে সুপ্রিম কোর্টে। এখন সুপ্রিম কোর্টের রায়ের দিকেই তাকিয়ে সরকারি কর্মচারীরা। গত নভেম্বরের ৩ তারিখ এই মামলার শুনানির তারিখ দেওয়া হলেও দশম বারের জন্য সেই তারিখ পিছিয়ে দেয় শীর্ষ আদালত। সেই মামলার পরবর্তী শুনানির তারিখ ধার্য করা হয় আগামী ৫ ফেব্রুয়ারি, ২০২৪।

তবে এদিনেও এই মামলার শুনানি হল না সুপ্রিম কোর্টে। মামলার শুনানির তারিখ আবার পিছিয়ে দেওয়া হল হলে খবর মিলেছে। সুপ্রিম কোর্টের ওয়েবসাইট থেকে প্রাপ্ত তথ্য অনুযায়ী, এই মামলার শুনানির তারিখ ধার্য করা হয়েছে আগামী ১৮ ই মার্চ, ২০২৪। তবে এটিকে সম্ভাব্য তারিখ হিসেবে ধরে রাখা হয়েছে। পরবর্তী সময়ে এটি নাকি নিশ্চিতভাবে জানা যাবে যে কবে, কোন বেঞ্চে, কত নম্বর স্থানে উঠবে এই মামলাটি। তাই এই মামলার নিষ্পত্তি চাওয়া আন্দোলনকারীরা আপাতত জোর ধাক্কা খেলেন, তা মোটামুটি পরিষ্কার।

উল্লেখ্য, এই মামলাটি সোমবার সুপ্রিম কোর্টের এজলাসে ওঠার কথা ছিল। গত বছরই এই তারিখ দেওয়া হয়। সূত্রের খবর, এই ডিএ মামলা সুপ্রিম কোর্টের ৬০ নম্বর সিরিয়ালে নথিভুক্ত ছিল। এই মামলা নথিভুক্ত ছিল বিচারপতি হৃষিকেশ রায় এবং বিচারপতি প্রশান্তকুমার মিশ্রের ডিভিশন বেঞ্চে। তবে তা আবার পিছিয়ে গেল। অর্থাৎ, আরো প্রায় মাস দেড়েক এই মামলার শুনানির জন্য অপেক্ষা করতে হবে। আর সর্বোচ্চ ন্যায়ালয়ের এই সিদ্ধান্তে যে হতাশ হলেন আন্দোলনকারীরা, তা মোটামুটি নিশ্চিত।